চিতলমারীতে টমেটোর ফলন ভাল হলেও নেই ক্রেতা, হিমাগার, প্রসেসিং সেন্টার গড়ে তুললে টমেটো চাষে উদ্ধুদ্ধ হতো আরও বেশি চাষি। জেলার চিতলমারী উপজেলার শত শত মাছের ঘেরের জমির আইল (ভেড়িতে) ফলানো হয় টমেটো। অতি বৃষ্টির কারনে দুইবার লাগানো চারা পচেগলে গেলেও তৃতীবার বপনকৃত কৃষকের মাছের ঘেরের আইল ও জমিতে টমেটোর অধিক ফলন হলেও এখন দাম এতোটাই কম যে ক্ষেত থেকে টমেটো তুলে বাজারে নেয়া পর্যন্ত শ্রমিকের যে টাকার পরিমান তাতে বাজারে নিলেও টমেটোর কেজি পাচ টাকা হলেও খামারির সেই সামর্থ্য না থাকায় চিতলমারীর শত শত ঘেরেই শুধু নয় বাগেরহাট জেলার কচুয়া, মোল্লাহাট,ফকিরহাট ও বাগেরহাট সদর উপজেলার শত শত ঘেরে অযত্নে অবহেলায় গাছে টমেটো শুকিয়ে গেলেও তা পরিস্কার করার পরিমিত অর্থ নেই খামারের চাষিদের। প্রতি বছর এমন দৃশ্য এ সময়ে দেখা মেলে।রাস্তার ধারে ক্ষেতে মন কে মন টমেটো পড়ে আছে। এটি যেন টমেটোর সাম্রাজ্য। অতি কষ্টে অধিক দামে টমেটোর চারা কিনে টমেটোর চাষে ভালো ফলন হলেও কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না।চিতলমারীর খাসেরহাট গ্রামের চাষি মুজিবর জানান তাদের চোখে মুখে বিষন্নতার ছাপ। গাছে গাছে টমেটো শুকিয়ে পড়ে আছে তা দেখে যেন তাদের কান্নার শেষ নেই,গাছ থেকে টমেটো ১ টাকা কেজি তাও ক্রেতা দের হাতে তুলে দিতে হবে । কলাতলা গ্রামের কৃষক আজিজুল জানান, প্রতিবছর লাভের আশায় টমেটো চাষ করি ট্রাক ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে আমাদের টমেটো কিন্তু লাভের অংশ পোকায় খায়। চিতলমারী কৃষি কর্মকর্তা শিফাত আল মারুফ জানান অতি কষ্ট করে টমেটো চাষে কৃষক সফল হলেও শেষ পর্যন্ত লাভের মুখ দেখতে পারেন না। বাগেরহাট জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানান, এবার বাগেরহাটে ২ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে টমেটোর ফলন হয়েছে ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। বাগেরহাট জেলা জুড়ে যে পরিমান টমেটোর ফলন হয় তাতে এখানে কোন কোল্ডস্টোর নেই।টমেটো দ্রুত পচনশীল বলে তিনি ও তার উপজেলার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা বাগেরহাট জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয় টি জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান কে অবহিত করেন। এছাড়া জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান যদি এখানে কোন উদ্যোক্তা কর্তৃক টমেটো সস তৈরির প্রসেসিং সেন্টার গড়ে তুললে কৃষকরা লাভবান হতো এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেত।চাষিরা বেশি করে টমেটো চাষে উদ্ধুদ্ধ হতো।
AZR