বাগেরহাটের সাবেক তিন সংসদ সদস্য পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাসহ ৩৫
জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা। আটক ১.
বাগেরহাটের সাবেক তিন সংসদ সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার রফিকুল ইসলাম মিঠু নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন। বাগেরহাটের তৎকালীন পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে ইতিমধ্যে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আসামীরা হলেন, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, বাগেরহাটের তৎকালীন পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন ভূঁইয়া, বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মিনা হাসিবুল হাসান (শিপন), সদর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান খান মুজিবুর রহমান, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরুজুল ইসলাম,জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবীর সকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, গত বছরের ৪ আগষ্ট বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী গোলচত্ত্বর এলাকায় আসামীরা জড়ো হয়ে ছাত্রজনতার উদ্দেশ্যে গুলি ও বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। শনিবার সকালে বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার রফিকুল ইসলাম মিঠু নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা হয়েছে। বাগেরহাটের তৎকালীন পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে ইতিমধ্যে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আজ বাগেরহাট আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।ap