বাগেরহাট পৌরসভার নাগেরবাজার রেল রোড এলাকায় এক ব্যবসায়ী ও তার মায়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত (২৪ জানুয়ারি) শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারিণী সুমি বেগম (৩৮), স্বামী রুহুল আমিন হাওলাদার জানান. যে তার পুত্র বাবু হাওলাদার (২১) ব্যবসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে নাগেরবাজার রেলরোডস্থ সাইক্লোন সেল্টারের সামনে পৌঁছালে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়।
সন্ত্রাসীরা এ সময় তারা ধারালো রামদা, লোহার রড, এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে বাবু হাওলাদারের উপর হামলা চালায়।
বাবুর বাম চোখের নিচে রামদা দিয়ে আঘাত করে মাথার ডান পাশে কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করেন। লোহার রড দিয়ে বাবুর মাথায় আঘাত করতে গেলে তিনি বাম হাতে ঠেকানোর চেষ্টা করেন, যার ফলে তার কনুই ভেঙে যায়। হামলা ঠেকাতে এগিয়ে গেলে সুমি বেগমকেও এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। তাকে রামদা দিয়ে হাতের কবজিতে দুইবার কোপ দেন। চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করেন।
সুমি বেগম জানান, হামলার সময় গলা থেকে স্বর্ণের চেইন এবং কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় আলেকজান বেগম নামে এক প্রতিবেশী সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা তার দোকান ভাংচুর করে।
হামলার পর স্থানীয়রা সুমি বেগম ও তার পুত্র বাবু হাওলাদার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার শিকার সুমি বেগম বাগেরহাট সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
হামলার শিকার বাবু হাওলাদার পিতা রুহুল হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ও আমার স্ত্রী সুমি বেগম গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাগেরহাট সদর থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরে ও সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত হয়নি আমরা এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। বাগেরহাট সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) গৌতম কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।