প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এখন ফ্রিজ রয়েছে। বাজার থেকে তরতাজা সবজি, মাছ-মাংস কিনে এনে ফ্রিজে রাখা হয়। প্রতিদিনের ব্যস্ত সময় থেকে বাজারের সময় বাঁচাতেই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা। এই সময় বাঁচাতে গিয়েই অনেক সময় এমন কিছু ফ্রিজে রাখা হয়, যা রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।
স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ প্রদানকরা ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই স্বাস্থ্যগুরু খ্যাত কোরি রদ্রিগেজে ছয়টি সাধারণ খাবার সম্পর্কে জানিয়েছেন। যে খাবারগুলো ভুলভাবে সংরক্ষণ করা হয়। একইসঙ্গে সেসব ভালোভাবে রাখার উপায় জানিয়েছেন তিনি। ফলে সেসব খাবার তার গুণগত মান ও স্বাদ হারিয়ে ফেলে।
মধু: মধু কখনোই ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। কেননা, ঠান্ডা তাপমাত্রা মধুকে স্ফটিক করে তুলতে পারে এবং তা জমে যেতে পারে। বরং এটি নিরাপত্তার সঙ্গে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে পারেন।
টমেটো: প্রায় পরিবারেই টমেটো ফ্রিজে রাখা হয়। এসবও সাধারণ খাবারের মতো বাইরে রাখা যেতে পারে। টমেটো ফ্রিজে রাখা হলে তা নিস্তেজ এবং মুখরোচক হতে পারে। আবার এর স্বাভাবিক গন্ধ ও গঠনেও প্রভাব পড়তে পারে।
কফি: কফি কখনো ফ্রিজে রাখতে নেই। এতে অবাঞ্ছিত গন্ধ সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে এবং স্বাদে পরিবর্তন আসে। বরং এর থেকে ঘরের স্বাভাবিক শীতল, শুষ্ক কোনো জায়গায় রাখুন। আর্দ্রতা থেকে দূরে।
গরম সস: এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা সস তৈরির পর বা গরম সস ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। এতে স্বাস্থ্যগত ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। গরম সসে ভিনেগার ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করতে যথেষ্ট। এ কারণে এটি স্বাভাবিকের থেকে অধিক ঠান্ডা আবহাওয়ায় বা হিমাগারে রাখার প্রয়োজন নেই।
এছাড়া কাঁচা মরিচ, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদিও ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন হয় না। এসব ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই বরং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।”bl