।
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে একটি কোম্পানীর বিরুদ্ধে ভোজাল
কীটনাশক বাজারজাত করনের অভিযোগ তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
বাগেরহাট জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে কৃষকদের দেয়া অভিযোগে
বলা হয় এক্্রপার্ট এগ্রিকেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্্রপোর্ট লিঃ এর
বিরুদ্ধে নকল কীটনাশক বাজারজাত করণের মাধ্যমে কৃষকের ফসলের
ব্যাপক ক্ষতি করেছে। অভিযোগকারীরা ওই ঘটনায় তদন্তপূর্বক
কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ দাবী করেছে। বাগেরহাট জেলার
মোল্লাহাট উপজেলার গিরিশনগর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক চান মিয়া
মোল্লা বলেন, পাশর্^বত্তি চিতলমারী উপজেলার দলুয়াগুণী বাজারে ফারুখ
হোসেনের ‘কৃষি বীজ ভান্ডার’ নামে কৃষি উপকরনের দোকান রয়েছে। ওই
দোকান থেকে তিনি সম্প্রতি দুইটি বালাইনাশক ক্রয় করেন। যা ব্যবহার
করে তার পানবরজ ও বিভিন্ন প্রকার সবজি ক্ষেতের সকল ফসল মরে যায়।
এতে তার প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এরপর ওই কীটনাশক
নিয়ে তিনি মোল্লাহাট উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে যান এবং
সেখানকার পরিক্ষায় ওই কীটনাশক নকল প্রমাণিত হয়। এ ঘটনা তিনি ওই
কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলে জানান। কৃষকের দেয়া
অভিযোগের বিষয়ে বাগেরহাট জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে
একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং এক্্রপার্ট এগ্রিকেয়ার
ইমপোর্ট এন্ড এক্্রপোর্ট লিঃ এর নকল কীটনাশক বিক্রির কারণে
চিতলমারী উপজেলার দলুয়াগুণী বাজারের কৃষি বীজ ভান্ডারকে ১০ হাজার
টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মোল্লাহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ
কর্মকর্তা মোঃ সালমান জামান জানান, ওই কীটনাশকের মোড়কে
উল্লেখিত রেজিঃ নং কৃষি ওয়েবসাইটে সার্চ দিয়ে দেখা যায়, অন্য
কোম্পানির রেজিঃ নং ব্যবহার করা হয়েছে। নকল কীটনাশক তৈরি ও
বাজারজাত করা দÐনীয় অপরাধ। এতে কৃষি বিভাগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়
বলেও জানান তিনি। এ দিকে নকল কীটনাশক বিক্রেতা কৃষি বীজ
ভান্ডারের পরিচালক মোঃ ইয়াছিন বলেন, ওই কোম্পানীর কীটনাশক বিক্রির
কারণে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। বিষয়টি
কোম্পানির মালিক জনৈক হেলাল সাহেব কে জানালে তিনি বলেছেন
জরিমানার অর্থ কোম্পানী পরিশোধ করবে।#