ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্র দ্বীপে ভারি বর্ষণের চার দিন পরেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে নিখোঁজ হওয়া ৭ ব্যক্তির এখনও কোনো সন্ধান পায়নি উদ্ধারকারীরা।
মঙ্গলবার এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন বন্যা ও ভূমিধসে দেশটিতে গত কয়েক দিনে অন্তত ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ভারী বর্ষণে দ্বীপটির বেশ কয়েকটি এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। এর মধ্যে করো, পাদাং লওয়াস এবং তপানুলি সেলতান নামক এলাকায় বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেছেন, এসব এলাকায় ভূমিধসে নিহত হয়েছেন ১১ বাসিন্দা।”
অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়ার ফলে সৃষ্ট বন্যায় আরও চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলেও তথ্য দিয়েছেন আব্দুল মুহারি। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে ওই অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সুমাত্রা দ্বীপে উদ্ধার কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পুলিশ এবং সামরিক কর্মকর্তারা। এখনও নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তবে ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের ফলে উদ্ধার কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানিয়েছেন আব্দুল মুহারি। “
তিনি জানিয়েছেন, এখনও ওই এলাকাগুলোতে সকাল-সন্ধ্যা বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে উদ্ধার কাজে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন উদ্ধার কর্মীরা। তবে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত এই তৎপরতা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রবল বন্যা এবং ভূমিধসে গ্রামের বসতবাড়ি, মসজিদ এবং আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুমাত্রা দ্বীপের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের পরবর্তী ভারী বর্ষণের বিষয়ে সতর্ক করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ফের ওই এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।”
উলেখ্য, প্রায়শই ভূমিধস এবং প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। বিশেষ করে প্রত্যন্ত জেলাগুলোতে বন উজাড় এবং খনি সন্ধানের জন্য খুঁড়াখুঁড়ির ফলে ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকে গ্রামবাসী।”sk