বাগেরহাটের রামপাল থেকে হত্যা মামলার পাঁচ আসামীকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। ২০২৪ সালের ২৫ জুন খুলনার আড়ংঘাটার আরিফ নামে এক ব্যক্তি খুন হন। এই গ্রেপ্তারকৃতরা ওই ঘটনায় আড়ংঘাটা থানায় হওয়া হত্যা মামলার আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, মো. রাসেলুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি লোহার তৈরি ওয়ান স্যুটারগান, ছয়টি গুলি। এছাড়াও তাদের ব্যবহ্নত তিনটি মোটরসাইকেল ও পাঁচ মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন, খুলনা মহানগরের দৌলতপুরের মহেশ^রপাশা এলাকার মতলেব শেখের ছেলে হুমায়ুন কবির ওরফে হুমা (৩৬), একই এলাকার রমজান ঢালীর ছেলে ইসতিয়াক শাহরিয়ার (২৩) কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী রায়হান (২১), মো. ওবায়দুর রহমানের ছেলে মো. আসিফ মোল্লা (২০) এবং আলমগীর হোসেনের ছেলে মো. ইমন হাওলাদার (২১)। বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, গোপণ সংবাদে জানতে পারি জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট বাজার এলাকায় কিছু সন্দেহভাজন লোকজন ঘোরাফেরা করছে তারা কিলিং মিশনের সদস্য। এই খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকায় পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ফয়লাহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায় দেড় মাস আগে রামপালের ভাগা এলাকায় জনৈক রফিকুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছে। পরে তাদের নিয়ে ওই ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি লোহার তৈরি ওয়ান স্যুটারগান ও ছয়টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৫ জুন খুলনার আড়ংঘাটার আরিফ নামে এক ব্যক্তি খুন হন। এই আরিফ হত্যার সাথে এরা সরাসরি জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই হত্যাকান্ডের হুকুমদাতা ছিলেন হোসেন ঢালী ও আলমগীর হোসেন। ইমন ও রায়হান আরিফকে গুলি করে হত্যা করে। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে ঘটনায় রামপাল থানায় একটি অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।ap