বাংলাদেশের উত্তর পুর্বে সিলেট অঞ্চল, পুর্বাঞ্চলে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা এবং দক্ষিণ পুর্বে খাগড়াছড়িসহ ১১টি জেলার ৭৭টি উপজেলায় আকস্মিক বন্যায় প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ, ৯/১০ লাখ মানুষ পানি বন্দি। ইতিপুর্বে যেখানে কোনো দিন বন্যার ইতিহাস নেই সেখানেও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বসত বাড়ী, ক্ষেতের ফসল, মাছের ঘের, পুকুর গরু ছাগল ভেসে যাওয়ায় ঐ সমস্ত এলাকার মানুষ সব কিছু হারিয়ে এখন করুন মানবেতর দিন পার করছেন। ভারতের ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উজানে ডাম্বুর বাধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের পুর্বাঞ্চলের জেলা গুলিতে মারাত্মক বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত বাংলাদেশকে সতর্ক না করে ডাম্বুর বাধ খুলে দেওয়ায় এ বন্যা। আমরা ভারতের অসহযোগিতা নয় সহযোগিতা চাই। বন্যার আগাম সতর্ক বার্তা জানালে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান হয়ত কম হতে পারত। ভারত আমাদের প্রতিবেশি রাস্ট্র হিসাবে তাদের সর্বত্রই সহযোগিতা চাই। নেতৃবৃন্দ বন্যা কবলিত এলাকাকে দুর্যোগ পুর্ন এলাকা ঘোষণা, বন্যা কবলিত এলাকায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু ও অক্ষমদের দ্রæত উদ্ধার করা এবং শুকনা খাবার, শিশু খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ, নগদ অর্থ সহয়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টার প্রতি আহŸান জানান।
উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকায় তাদেরকে অভিনন্দন এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দরা হলেন সভাপতি ডাক্তার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মাজেদা খাতুন, ডাক্তার সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, ডাক্তার আব্দুল সালাম, জিএম মহিউদ্দিন, এডভোকেট কাজী আমিনুল ইসলাম মিঠু মো. কামরুল ইসলাম কামু, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মুন্সী আহমেদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান খোকন, শেখ মোহাম্মদ আলী এম এ জলিল, মো. কামরুল ইসলাম ভট্ট, কাওছারী জাহান মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাকিল আহমেদ রাজা, আব্দুর রাজ্জাক, কারী শরীফ মিজানুর রহমান, কবিতা আহমেদ, শেখ শহিদুল ইসলাম, মো. আরিফ আহমেদ, মো. জিসান, আলহাজ্ব তাহেরুল আলম চৌধুরী, মো. শফিকুল ইসলাম অভি, শেখ রফিকুল ইসলাম, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. জয়নাল, ডা. শেখ মাহফিজুর রহমান বাচ্চু, মো. জাবেদ আক্তার, মো. রুহুল আমিন, মো. মিকাইল হোসেন, মো. আবুবক্কার, মো. আজমল হোসেন প্রমুখ ।jl