শিশুর মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাদের ওপর কোন কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে আমাদের সুযোগ করে দিতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের জীবনমান উন্নয়ন করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা সহজ হবে। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগকালে কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে বেতার সংলাপে অতিথিরা এ সকল কথা বলেন।”
সংলাপে অতিথিরা আরও বলেন, আদর্শ, মানবিক ও মূল্যবোধ সম্পন্ন ভাবে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে। সব সময় ভাল দিকগুলো শেয়ার করতে হবে। নিজেকে সকল ক্ষেত্রে খাপখাইয়ে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। এক শ্রেণির মানুষ শিশুদের খারাপ কাজে ব্যবহার করতে চেষ্টা করছে। পিতা-মাতারা শিশুর সকল সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারেন। সন্তান কোথায় যায়, কী করে, মোবাইলে আসক্ত হয়েছে কিনা তাও আভিভাবকদের খোঁজ নিতে হবে।
সংলাপে অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ, ইউনিসেফ খুলনা অফিসের প্রধান মোঃ কাওসার হোসাইন ও রূপসা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহীনা আক্তার। বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে সংলাপে স্বাগত বক্তৃতা করেন উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ মোমিনুর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বেতারের সহকারী পরিচালক মোঃ মামুন আকতার। ইউনিসেফের সহযোগিতায় খুলনা বেতার কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংলাপে বেতারের কর্মকর্তা, কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।”
অনুষ্ঠানে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বেতার সংলাপে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের ৫০ কিশোর-কিশোরী অংশ নেন।.smkb