December 23, 2024, 8:22 pm
নোটিশ :
প্রকাশক ও সম্পাদক : মাসুম হাওলাদার।   বার্তা সম্পাদক : তানভীর সোহেল।     প্রধান কার্যালয় :  রেল রোড (কৃষি ব্যাংকের সামনে) বাগেরহাট। ইমেইল : press24masum@gmail.com

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সবকিছু করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম 173 বার
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, মে ৩০, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণ করে দেওয়াসহ যা যা প্রয়োজন সব করে দেওয়া হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শেষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বাঁধ দ্রুত মেরামতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে যে সমস্ত রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে, সেগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে বাঁধগুলো ভেঙে গেছে, সেগুলোও মেরামতের কাজ ইতোমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। যাতে বর্ষার আগেই আমরা বাঁধগুলো নির্মাণ করে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারি।

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।  

“সরকারপ্রধান বলেন, ‘যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে ইতোমধ্যে আমরা খোঁজ নিতে বসেছি। তাছাড়া আমি আবার সবার সঙ্গে বসবো। যেখানে যেখানে যাদের বাড়িঘর ভেঙেছে, তাদের ঘরবাড়ি করে দেবো, এইটুকু ভরসা আপনারা রাখবেন।’

জলোচ্ছ্বাসের কারণে অনেক পুকুরের পানি নোনতা হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় মাছের ঘের ভেসে গেছে। আমাদের ভাগ্য ভালো যে, ধানকাটা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও তরিতরকারি যা নষ্ট হয়েছে, কৃষক যাতে আবার সেগুলো বপন করতে পারে, সেজন্য বীজ, সার, যা যা লাগে সেগুলোর ব্যবস্থা ইনশাল্লাহ আমি করে দেবো। নতুন উদ্যমে আপনারা যাতে চাষ করতে পারেন, আমি চাই আমাদের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী থাকবে না। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা পদক্ষেপ নিই। আর সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেবো।’

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।  

এবারের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস খুবই অস্বাভাবিক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি সাইক্লোন শেল্টার করেছি, সেখানে মানুষ আশ্রয় পেয়েছে। যারা গৃহহীন, তাদের দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দিয়েছি। যে কারণে মানুষ অন্তত আশ্রয়ের জায়গা পেয়েছে। পশুপাখি আশ্রয়ের ব্যবস্থা পেয়েছে।’

‘আমরা চাই দুর্যোগ থেকে এই এলাকার মানুষ যেন মুক্তি পায়। আমরা জানি, এই এলাকা সবসময়ই দুর্যোগপ্রবণ।’    

শেখ হাসিনা বলেন, আজ ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই দুযোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি হয়। দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন। রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ করে দিয়ে আপনাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা… বিদ্যুতের ব্যবস্থা সব করে দিয়েছি।  

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবনের যে চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা তার ব্যবস্থা করার জন্য যা যা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার তা করে যাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, সেখান থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ আর বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। মায়ের নামে আমরা বৃত্তির টাকা পাঠাই। যারা একেবারে হতদরিদ্র বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিই। এখন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, যারা কিনতে পারে না তাদের জন্য পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি।

অল্প টাকায় চাল, ডাল, তেল কিনে নিতে পারবে সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি। দেশের মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য সব জায়গায় খুব সহজেই যাওয়া যায় উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আজকে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে এই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাঁচ-ছয় ঘন্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়। আগে কিন্তু আসা যেতো না। পাশাপাশি গ্রামেগঞ্জে রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। এই দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে অবহেলিত ছিল।

এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কথাও তুলে ধরেন তিনি।  

গেল রোববার দিবাগত রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে তাণ্ডব চালায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মধ্যরাতে ঝড়ের সাথে জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুরের বেশ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুধু বরিশাল বিভাগেই মৃত্যু হয় ১৯ জনের।

ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে যায় গাছপালা, বাড়িঘর, বেড়িবাঁধ। দক্ষিণ অঞ্চলের অনেক মাছের ঘেরও তলিয়ে যায়।

রাতভর তাণ্ডবের পর ঘূর্ণিঝড় রেমাল সোমবার সকালের পর  আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে দুর্বল হতে থাকে।  

রাজধানীসহ ১০ জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্তত ২১ জনের প্রাণহানির খবর এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। #

smkb


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com