December 23, 2024, 3:54 pm
নোটিশ :
প্রকাশক ও সম্পাদক : মাসুম হাওলাদার।   বার্তা সম্পাদক : তানভীর সোহেল।     প্রধান কার্যালয় :  রেল রোড (কৃষি ব্যাংকের সামনে) বাগেরহাট। ইমেইল : press24masum@gmail.com

বাগেরহাটে বৈধ জমি জোর দখলের চেষ্টা: আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা

বাগেরহাট প্রতিনিািধঃ 251 বার
আপডেট সময় : শনিবার, মে ১৮, ২০২৪



বাগেরহাটের পল্লীতে পরসম্পদ জোর দখলের লক্ষে প্রকৃত জমি মালিকের পাহারাদারদের বেধড়ক মারপিট করে আহত হওয়ার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। জমি মালিক জেলা সদরের দশানী এলাকার বাসিন্দা শেখ জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হামলাকার ৭ জনের নাম পরিচয় উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জন কে আসামী করে দায়ের করা মামলাটি গত বুধবার বাগেরহাট সদর মডেল থানা রেকর্ড করে। এর আগে জামাল শেখ আসামীদের বিরুদ্ধে জেলা অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতিকুস সামাদ ১৮৯৮ এর ১৫৬(৩) ধারায় শামীম হাওলাদারসহ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে এজারহার রেকর্ড করার জন্য বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশনা দেন। আদালতের গত ৭ মের নির্দেশনা মোতাবেক সদর মডেল থানার ওসি মোঃ সাইদুর রহমান ১৫ মে মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলার আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের কিসমতভট্র গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার (৫০), একই এলাকার তুহিন হাওলাদার (৩৫). আসিফ শেখ(৩০), বাবুল হাওলাদার(৫২), লাভলু হাওলাদার(৪৮) পাশ^বর্ত্তি ভট্র বালিয়াঘাটার আনিস মোড়ল (৪০) ও তার ছেলে শান্ত মোড়ল (২০)। মামলার বাদী জামাল উদ্দিন জানান, সদর উপজেলার কিসমত ভট্র মৌজায় ৫,৫৩৬০ একর বাস্ত জমি আমার নানী আপোষ নামা ও দলিলমুলে মালিকানা আমাকে দেয়। আমি ওই জমি দখলে নিয়ে গাছপালা লাগিয়ে রক্ষনা বেক্ষনসহ অর্থের প্রয়োজনে জমি দেখিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে আর্থিক ঋন গ্রহন করি। আর ওই জমি দেখভালের জন্য ভট্রবালিয়াঘাটা এলাকার নুরুনবী ফরাজী ও তার স্ত্রী মুঞ্জুয়ারা বেগম কে দায়িত্ব দেই। অথচ, আসামীরা আমার দখলিয় মালিকানার ওই জমি থেকে আমাকে উচ্ছেদের লক্ষে গত ৩০ এপ্রিল সকালে সংঘবদ্ধ হয়ে জমির গড়া-বেড়া ভেঙ্গে দেয়। এমনকি জমিতে থাকা সোনালী ব্যাংকের ঋন গ্রহনের সাইনবোর্ডটিও ভেঙ্গে দেয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে নুরনবী ও তার স্ত্রী মুঞ্জুয়ারা বেগম কে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্ত্তি করি এবং বিষয়টি থানা পুলিশ কে অবহিত করি। আর যেহেতু আসামীদের বিরুদ্ধে এর আগেও একটি ফৌজদারী মামলা চলমান থাকায় আমার আইনজীবির মাধ্যমে পুনরায় হামলা কারীদের বিরুদ্ধে বিচারকের দৃষ্টিগোচর করা হয়। বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার নেওয়ার জন্য বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসিকে নিদের্শনা দেন। এ বিষয়ে থানার ওসি মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশনা পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং পরবর্ত্তি আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com