খুলনা বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সির আঞ্চলিক বীজ প্রত্যায়ন অফিসার মোঃ আজগর আলী বলেছেন,স্মার্ট কৃষক ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ হবে না, এক জমিতে একাধিক ফসল ফলিয়ে স্মার্ট কৃষক হতে হবে। এ জন্য বর্তমান সরকার কৃষকদের জন্য সকল সুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর। প্রতিনিয়ত সব পন্যের মুল্য বৃদ্ধি পেলেও সারের মুল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না। কৃষিকাজের জন্য সারসহ সকল পন্যে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। স্বাধীনতা পরবর্ত্তি সময় থেকে এখন পর্যন্ত মানুষ বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষি জমি কমে গেলেও উৎপাদন বেড়েছে। এখন আর কেহ না খেয়ে থাকেন না। বরং অনেকে ৪ বার ভাত খান। তাই জমি পতিত না রেখে আরো উৎপাদন বাড়াতে বিদেশ গমন বা চাকুরির দিকে না ঝুকে স্মার্ট কৃষক হতে পারলে পরিবারের পাশাপাশি দেশও সমৃদ্দশালী হবে। ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের উদ্যোগে বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন কক্ষে আয়োজিত পরিকল্পনা গ্রহন ও মুল্যায়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জেলার সকল উপজেলা ও সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা এবং সংবাদ কর্মীদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রকল্প পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি। বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ এ সভায় পরামর্শ রেখে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি-প্রশিক্ষন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মোল্লাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা। শরনখোলা উপজেলা কৃষি অফিসার দেবব্রত সরকারের পরিচালনায় এ সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, মোংলা উপজেলার সফল কৃষক সুলতান জমাদ্দার, মোল্লাহাটের ফয়সাল, রামপালের শাওন সেখ সংবাদ কর্মী আকমল উদ্দিন সাকি প্রমুখ। উন্মুক্ত আলোচনায় সাধারন কৃষকরা বলেন উপকুলীয় এ জেলায় তাদের প্রধান সমস্যা লবনাক্ততা এবং অপরিকল্পিত চিংড়ী চাষ। কৃষিকাজের সুবিধার জন্য সরকার জনগনের অর্থায়নের বেড়ীবাধ ও ¯øুইচ গেট নির্মান করেছেন। অথচ অপরিকল্পিত গুটি কয়েক জোরদার চিংড়ী চাষী তাদের স্বার্থে ¯øুইগেট ব্যবহার করছে। কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বেড়ীবাধ কেটে অবৈধভাবে লবন পানি প্রবেশ করিয়ে চিংড়ী চাষ করা হচ্ছে। এতে হাজার হাজর কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বছর কে বছর।#az