স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়ে. নিজের জীবন ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে, চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, মোসাম্মদ হালিমা।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে, বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে. তিনি তার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম নির্যাতন, এবং বিচারপ্রাপ্তির আকুতি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে হালিমা জানান, স্বামী সুকুমার ওরফে মনির হোসেনের সঙ্গে, তার প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে, ধর্মান্তরিত হয়ে, এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিগত চৌদ্দ বছর তাদের সংসার সুখে কাটলেও, সম্প্রতি তার স্বামী তাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে, মারধর ও বিষপ্রয়োগের চেষ্টা করেন।
হালিমা অভিযোগ করেন, স্বামী মনির হোসেন তাকে, এক লাখ টাকা যৌতুক না আনলে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন। এর জের ধরে স্বামী তাকে দা দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন এবং বিষ প্রয়োগের চেষ্টা করেন। তার সন্তানদের চিৎকারে এলাকাবাসী এবং বোন আসিয়া তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে এবং পরে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি জানান, সুস্থ হয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ অবস্থায় তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-১৯১/২৪) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই তিনি ও তার সন্তানরা ভয়ভীতি এবং চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন যাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে হালিমা বলেন, “আমার মতো কোনো নারীর জীবনে যেন এমন ঘটনা না ঘটে। আমি প্রশাসন ও দেশবাসীর কাছে সুষ্ঠু বিচার এবং নিরাপত্তা দাবি করছি।”
এসময় তিনি গণমাধ্যমের সহায়তায় তার দাবি প্রচার করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে হালিমা তার সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।##