।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একজন স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ভারতে পাচার ও ফিরিয়ে আনতে ৫০ হাজার টাকা চাদা দাবীর অভিযোগ এনে থানায় দায়ের করা হয়েছে। স্কুল ছাত্রীর পিতা মো. বাদল তালুকদার বাদি হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে রবিবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ বাদীর বয়ানে জানা গেছে, মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের ভ্যান চালক মো. বাদল তালুকদারের মেয়ে কে. জি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী হাফসা আক্তার (১৫) কে পরিকল্পিতভাবে তারই দূর সম্পর্কের মামাতো বোন উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামের মো. ফারুক চাপরাশীর মেয়ে সাথী আক্তার গত ৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাফসাকে ভারতে পাচারের উদ্যেশ্যে পাচার চক্রের সদস্যর মাধ্যমে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরের দিন ওই ছাত্রীর পিতা বাদল তালুকদার মেয়েকে তার মামা ফারুক চাপরাশীর বাড়িতে সকালে আনতে গেলে হাফসা তাদের বাড়িতে আসেনি বলে অস্বীকার করে। বিকেলে বাদল তালুকদারের নিকট মেয়েকে ফেরত পেতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ফারুক চাপরাশী ও স্ত্রী বকুল বেগম। এদিকে ওই স্কুল ছাত্রী হাফসা আক্তার অপহরনের ৫দিন অতিবাহিত হলেও তার দরিদ্র পিতা-মাতা মেয়েকে এখনো ফিরে না পেয়ে সাথী আক্তারকে প্রধান আসামি করে ফারুক চাপরাশী ও তার স্ত্রী বকুল বেগমের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীর পিতা বাদল তালুকদার। এ বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদল তালুকদার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ে হাফসাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে তারই মামা ফারুক চাপরাশী, স্ত্রী বকুল বেগম তার মেয়ে সাথিকে দিয়ে ভারতে পাচার করে দিয়েছে। হাফছা এখন ভারতে অবস্থান করছে সেটি নিশ্চিত হতে পেরেছি। ৫দিন ধরে মেয়ের দুঃচিন্তায় নিজেদের রান্না খাওয়া বন্ধ। তাদের দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা কোথায় পাব। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই। এ সম্পর্কে ফারুক চাপরাশীকে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তার স্ত্রী বকুল বেগম মোবাইল ফোনে বলেন, হাফসাকে অপহরণ করে ভারতে পাচার করা হয়নি। হাফছা নিজ ইচ্ছায় তার মেয়ের সাথে ভারতে চলে গেছে। স্কুল ছাত্রী হাফসা তার ছোট ননদের মেয়ে। প্রয়োজনে ফোনে হাফসার সাথে কথা বলে জানা যাবে সে নিজ ইচ্ছায় ভারতে গিয়েছে কিনা। মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মাদ সামসুদ্দীন বলেন, স্কুল ছাত্রী হাফসা আক্তার অপহরনের বিষয়টি তাদের নিজেদের মধ্যে পারিবারিক সমস্যা। স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদল তালুকদার বাদি হয়ে অভিযোগ দিয়েছেন তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#
az