বাগেরহাটে জলবায়ু সংবেদনশীল বাজেট ও তরুণদেরক্ষমতায়নে প্রাক-বাজেট পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত।
বাগেনহাটে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও তরুণদের উন্নয়ন নিশ্চিত
করতে স্থানীয় পর্যায়ে বাজেট বরাদ্দ কীভাবে করা যায়—তা নিয়ে দিনব্যাপী প্রাক-
বাজেট পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । তরুণ, জনপ্রতিনিধি, সরকারী
কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সভায় উঠে
এসেছে সম্পদের ন্যায্য বণ্টন, পরিবেশ রক্ষা ও যুব উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বাগেরহাট লেডিস ক্লাবে বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও
একশনএইড বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে এই প্রাক-বাজেট পরামর্শ সভা
অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক
আহমেদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, "আমাদের নিজেদের সুযোগ নিজেরাই
তৈরি করতে হবে। বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। সবাইকে নিজ নিজ
জায়গা থেকে সাশ্রয়ী ও দায়িত্বশীল হতে হবে। তবেই আমরা একটি উন্নয়নশীল ও
মানবিক বাংলাদেশ গড়তে পারব।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী
পরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল হাসান মিলন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম নুরুন্নবী, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসাদুর রহমান,
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তন্ময় দত্ত, যুব উন্নয়ন
কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব হোসেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ
তানভীর হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক তরফদার
রবিউল ইসলাম, সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, একশনএইড বাংলাদেশের
প্রতিনিধি মোঃ নয়ন, বাঁধনের কোঅর্ডিনেটর সোহাগ হাওলাদার ও
প্রোগ্রাম অফিসার জুবায়ের সানি।
স্থানীয় জনগণের অভিমত নিতে জরিপ করা হয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মেলরিন
টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, টেকনিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উপজেলা কৃষি অফিস,
সমাজসেবা অধিদপ্তর, ষাটগম্বুজ, খানপুর ও কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে।
ভুক্তভোগী ইমরান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকার খালগুলো প্রভাবশালী মহলের
দখলে। ভাবছিলাম নতুন বাংলাদেশে গোদাড়ার খাল, মানদার তলা খাল ও খুন্তাকাটা খাল
দখলমুক্ত হবে। কিন্তু এখনো শুধু আশ্বাসই পাচ্ছি। মানববন্ধন করেছি, বিভিন্ন দপ্তরে
ঘুরেছি—কিন্তু খাল মুক্ত করতে পারিনি।”
অর্ণব মিস্ত্রি বলেন, “আমরা যারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করি, তারা চাই এলাকার খাল
ও জলাভূমি রক্ষা পাক। বাজেট বরাদ্দে যেন এসব পরিবেশ বিষয় অগ্রাধিকার পায়,
সেই দাবিই আজ জানাচ্ছি।
সামিয়া সুলনা বলেন, “তরুণরা যদি অংশ নিতে না পারে, তবে টেকসই উন্নয়ন
সম্ভব নয়। বাজেট পরিকল্পনায় আমাদের মতামত গুরুত্ব পাবে—এমন প্রত্যাশা করি।”
অনুষ্ঠান শেষে একটি সুপারিশ প্রস্তাবনা পত্র তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।rj