দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন ডাব প্রতীকের প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এতে করে তিনি জামানত হারাতে যাচ্ছেন।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। কিন্তু নির্বাচনে হিরো আলম দুই হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন। জামানত রক্ষার জন্য তার প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার ৭৬ ভোটের।
এ আসনে আওয়ামী লীগ, তৃণমূল বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আসনটিতে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদের নৌকা মার্কার প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা পেয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার ৬১ ভোট।
আজ সোমবার বিকেলে হিরো আলম বলেন, ‘জিলেপির পটলা আর ট্যাকা দিয়া নির্বাচন করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনেও অনেক অনিয়ম হয়েছে। তাই ফলাফল ঘোষণার আগেই আমি নির্বাচন বর্জন করেছি।’
বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট দেওয়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট হতে হবে। কংগ্রেস প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম এই নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে দুই হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট তিন লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪টি ভোটের মধ্যে মোট প্রদত্ত ভোট ৯৬ হাজার ৬০৮টি। সেক্ষেত্রে জামানত রক্ষার জন্য তাকে পেতে হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৭৬ ভোট।’