বাগেরহাটে কর্মী সমাবেশে ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল
ইসলাম,
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ
নিশ্চিত হোক, সকল রাজনৈতিক, সকল
ইসলামী দলের ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে
অবস্থান নিবে।
বিগত দিনে বাংলাদেশে এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলনা, যেসকল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার কোন সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল। ছাত্রলীগ ও তার সহযোগিরা শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস, মাদকের স্বর্গরাজ্যসহ এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তারা
সৃষ্টি করে রেখেছিল। ইসলামী ছাত্র শিবির চায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার সুন্দর
পরিবেশ নিশ্চিত হোক, সকল রাজনৈতিক, সকল ইসলামী দলের ছাত্র সংগঠন
ক্যাম্পাসে এসে অবস্থান নিশ্চিতের মধ্যে দিয়ে ক্যাম্পাসে সুন্দর একটি পরিবেশ
সৃষ্টি হোক। বিগত দিনে ইসলামী ছাত্র শিবিরের জনশক্তি যেভাবে জুলুম
নির্যাতন উপেক্ষা করে রাজপথে কঠিন পরীক্ষা দিয়েছে জালিমদের মসনদকে তছনছ
করেছে। সেইভাবে ছাত্র শিবির আগামী দিনে সংগঠিত থাকলে হাসিনা ও তার
দোসররা এর চাইতে ভয়ঙ্কর রুপ নিয়ে আসে তাহলে তাদের রুখে দিতে ছাত্র শিবির
আরও বেশি বলিষ্ট ভূমিকা রাখবে ময়দানে।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম
একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী দু:শাসনে এদেশে যে জুলুম এবং নির্যাতনের চিত্র
আমাদের সামনে উঠে এসেছে, সেই জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে
সবচেয়ে বেশি এদেশের মজলুম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির।
ইসলামী ছাত্র শিবির যখন রাজপথে ¯েøাগান দিয়েছে তখন তাদের গ্রেপ্তার করার
নাটক আমরা মঞ্চায়িত হতে দেখেছি। তাদের পড়ার টেবিল থেকে গ্রেপ্তার করা
হয়েছে। পড়ার টেবিলের কুরআন হাদিস ইসলামী সাহিত্যকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে
আরও অসংখ্য নাটক মঞ্চায়িত হতে বিগত দিনে আমরা দেখেছি। আজকে সেইদিন
শেষ, নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি, ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং
তার সহযোগিরা এদেশের ইসলামী আন্দোলনের চর্চাকারীদের উপর জুলুম করেছে।
গত ৫ আগষ্ট তারা বিতাড়িত হয়েছে। জামায়াত ইসলামীর আমির মতিউর রহমান
নিজামীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি ও কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। বিগত
সরকার অর্বণীয় জুলুম নির্যাতন চালালেও ছাত্র শিবিরের কোন নেতাকর্মী এদেশ
থেকে পালিয়ে (শেখ হাসিনা) যায়নি। যারা দলের নেতা ও কর্মীবহিনীকে
অনিরাপদ রেখে পালাতে পারে, আর যাইহোক এই জাতির আর তাদের গ্রহণ করবে না।
কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা
রেজাউল করিম, নায়েবে আমির আইনজীবী আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারী জেনারেল
মাওলানা ইউনুস আলীসহ ছাত্র শিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ।ap