রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আযহা। শেষ মুহূর্তে খুলনার হাটগুলোতে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। খুলনার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশুর হাট নগরীর জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাট। এ হাটটি পরিচালনা করছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন।
শনিবার থেকে হাট জমে উঠেছে। ক্রেতা আর বিক্রেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে ব্যাপারী, খামার মালিক ও গৃহস্থরা গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া এনেছেন পশুর হাটে। মুহূর্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ছোট ও মাঝারি গরু। তবে বড় গরুর চাহিদা কম।”
এ প্রসঙ্গে বিকেলে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা থেকে গরু নিয়ে আসা খামারি মাহবুব মোলা বলেন, জোড়াগেটের পশুর হাটে যে পশু উঠেছে তার ৯০ শতাংশ নড়াইলের। ৭টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। ছোট ও মাঝারি ২টি বিক্রি হয়ে গেছে। বড় গরুর দাম শুনতে অনেকেই আসছে। কিন্তু দাম শুনে চলে যাচ্ছে।”
নড়াইল থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী বাহারুল ইসলাম বলেন, ১১ মণ ওজনের একটি গরু দাম সাড়ে ৪ লাখ টাকা চেয়েছি। ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ৪ লাখ হলে বিক্রি করবো।
আশরাফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, আধা ঘণ্টা হলো পশুর হাটে এসেছি। ঘুরছি, দেখছি। পছন্দ হলে কিনবো।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসির) সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাজিুর রহমান বলেন, হাটে পশু বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। পুরো হাটজুড়ে লোকে লোকারণ্য। হাট নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওয়াচ টাওয়ারে বসে পুরো হাট পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি তারা মাঠেও কাজ করছে।
বাজার সুপার আব্দুল মাজেদ মোলা বলেন, এ পশুর হাট দক্ষিণাঞ্চলসহ নগরীর মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী হাট। সড়কপথের পাশাপাশি নৌপথেও এখানে পশু আনার সুবিধা রয়েছে। এবারের হাটে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা, জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন, কন্ট্রোলরুম, মেডিকেল টিমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত এ হাটে পশু বেচাবিক্রি হবে বলে জানান তিনি।
সাইফুল ইসলাম নামে এক খামারি বলেন, গরুর পালন করতে যত খরচ হয়েছে সে হিসেবে গরুর দাম পাচ্ছি না। যে কারণে অধিকাংশ গরু অবিক্রিত রয়ে গেছে।
এদিকে জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাট ছাড়াও খুলনা জেলা সদরসহ ৯ উপজেলার ২৮ পশুর হাট বসেছে। হাটগুলো থেকে কোরবানির জন্য সাধ্যমতো পশু কিনছেন ক্রেতারা।#
sm.kb