জেলার ফুলতলায় বিএনপি নেতা সাজ্জাদুজ্জামান জিকো (৩৮) হত্যা ও ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মীকে জখম, ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৮৫ জনের নাম উলেখসহ চারশ’ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বাদী হয়ে মামলাটি (নং-০৮) দায়ের করেন।”
ফুলতলা থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি শেখ হেলাল, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ জুয়েল, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বেলাল উদ্দিন বাবু, সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শিদী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত কুমার অধিকারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আ’লীগের সভাপতি সানাউলাহ নান্নু, জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, নগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, রূপসা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এস এম হাবীব, তেরখাদার সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসান মুসলি, রূপসার কামাল উদ্দিন বাদশা, শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরো, শেখ কামরুজ্জামান, আমির মিয়া, সাইফুল ইসলাম, নগর আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, পিন্টু, রূপসা কলেজের অধ্যক্ষ আ’লীগ নেতা আঃ সালাম ফকির, কাউন্সিলর এস এম খুরশীদ আহম্মেদ টোনা, শেখ মোরশেদ আহম্মেদ মনি, এস এম ফারুক আহমেদ, শামসুদ্দিন প্রিন্স, শেখ সাজ্জাদ হোসেন, মেহেদী আনাম রঞ্জু, মঈনুল হোসেন নয়ন, কাজী রিফায়েত, কাজী সাজেদুল ইসলাম, মাসুদ পারভেজ, ইব্রাহীম গাজী, কাজী জসীম উদ্দিন মুক্ত, মোলা আলী আজম মোহন, এসকে সাদ্দাম, হাফিজুর রহমান বাদল, ফারুক মোলা, তৈয়েবুর ফারাজী, কাজী মহিফুল, আব্দুলাহ আল মাহমুদ, সুলতান হোসেন খান, শিমুল হাওলাদার, আশরাফুল আলম কচি, মৃনাল হাজরা, মোঃ সেলিম রেজা, বুলু শেখ, মান্দার খাঁ, রহিম গাজী, মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু, হামিম মোলা, সলেমান গাজী, সোহেল, হামজা গাজী, জাহিদুল গাজী, মকবুল হোসেন, মোঃ ইয়াসিন, এনামুল শেখ, আক্তার হোসেন, টুটুল, মুছা গাজী, মোঃ কবির সরদার, বাদশা সানা, রুহুল আমিন, অহিদুল ইসলাম পলাশ, আমিনুল ইসলাম সাগর, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, জামিরুল হুদা জহর, আরাফাত হোসেন পল্টু, ইসরাইল চৌধুরী, ওয়াদুদ চৌধুরী, মোঃ হায়দার মোলা, বিধান চন্দ্র রায়, জুলফিকার মোড়ল, তুহিন মোড়ল, সোহেল মিনা, মোঃ হালিম চৌধুরী ও খলিল শেখসহ অজ্ঞাত চারশ’ জন।”
এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর খুলনা সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে ভৈরব নদের ফুলতলার শিকিরহাট থেকে ১০টি ট্রলার যোগে প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী রওনা দেয়। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ চন্দনীমহল কাঁটাবন এলাকায় পৌঁছালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে আগে থেকে অবস্থান নেয়া এজাহারভুক্ত আসামিদের নির্দেশনা এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলি, বোমা, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, রড ও ইটপাটকেল দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা ৮ লাখ টাকা মূল্যের শতাধিক মোবাইল, খেজুড়ি ভর্তি ৪ ডেক, এক হাজার প্লেট, চারশ’ টি গামলা লুট করে। এমনকি মোবাইলে থাকা বিকাশের টাকাও জোরপূর্বক তুলে নেয়। তাদের হামলায় অর্ধশত নেতা-কর্মী গুরুতর জখম হলে তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করে। গুরুতর আহতের মধ্যে ফুলতলার প্রায়গ্রাম কসবা গ্রামের মৃত শেখ শওকত হোসেনের ছেলে বিএনপি নেতা শেখ সাজ্জাদুজ্জামান জিকো ওই বছরের ২৪ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে পায়গ্রাম কসবার কাছারী হাটের বাজার থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুনরায় তার উপর নৃশংস হামলা চালায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে গেলে সেখানে বাধা নিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। আসামিরা নিহত শেখ সাজ্জাদুজ্জামান জিকোর মরদেহের ময়না তদন্ত ও দাফনে বাধা প্রদান করে।”sk