হাড় কাপানো শীতে কাঁপছে বাগেরহাটবাসীর জনজীবন, ভোগান্তিতে ছিন্নমূল মানুষ। কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নআয়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। কনকনে শীতে খেটে-খাওয়া দিনমজুর, গরিব,অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। এদিকে প্রচন্ড শীতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে এরিপোট লেখা পযন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি এ জেলায়। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ বছরের শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন। এ পরিস্থিতি আরও দু-একদিন থাকতে পারে বলে ধারণা আবহাওয়া অধিদপ্তরের।
তীব্র শীতে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন বোরো ধান চাষি, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষরা। অতিরিক্ত শীতে ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ধারণা কৃষকদের। তবে শীতে খেজুরের রসের মান ভালো হচ্ছে।
সদর উপজেলার শহরতলির মাঝিডাঙ্গা গ্রামের রফিক হাওলাদার বলেন, এখনই মূলত জমিতে ধান লাগানোর সময়। কিন্তু প্রচÐ শীতে জমিতে নামা যাচ্ছে না। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। এরিপোট লেখা পর্যন্ত সূর্য ওঠেনি। এভাবে থাকলে ধানের ক্ষতি হতে পারে।
বাগেরহাট শহরের খুদ্র ব্যবসাইয়ি আনোয়ার খলিফা বলেন, পেটের টানে ঘরথেকে বের হয়েছি। শীতে লোকজন তেমন বাইরে বের হচ্ছে না। তাই কেনা বেচা খুবই কম।
পৌর শহরের খারদ্বার এলাকায় খেজুর গাছ কেটে রস বের করার কাজে নিয়োজিত ফজোর আলী বলেন, শীতে সবকিছুর সমস্যা হলেও খেজুর গাছে রস বেড়েছে। রসের মানও ভালো।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, শুক্রবার বাগেরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি আনুমানিক আরো দুই থেকে তিনদিন থাকবে।rj