উত্তরের জনপদ নওগাঁয় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করেই ইরি-বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। তবে কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় কিছুটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। এরই সঙ্গে বেড়েছে উৎপাদন খরচও। তবে আবহাওয়া ঠিক থাকলে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন কৃষক। দেশে সার, কীটনাশক, জ্বালানি তেল ও শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
এই বিষয়ে কথা হলে কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, গত বোরো মৌসুম থেকেই ধানের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। ধানের আবাদে প্রচুর পরিশ্রম ও খরচ হয়। সে তুলনায় লাভবান হওয়া যায় না। যেহেতু ফসল উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সেহেতু ধানের দাম ১২০০ টাকার ওপর থাকলে কৃষকদের জন্য সুবিধা হয়।
কৃষক শাকিল হোসেন বলে নওগাঁ জেলা উত্তরবঙ্গের সীমান্ত একটি জেলা হওয়ার কারণে তীব্র শীত ও কুয়াশা বেশি হাওয়াই ইরি বোরো ধানের বীজ পাতা নষ্ট হয়। বীজ পাতা নষ্ট হওয়াই কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে কৃষকদের তবে ধানের ফলন বেশি হইলে ও দাম ভালো পাইলে খুশি হবেন কৃষকরা
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সুত্রে জানাজায়, জেলায় এবার এক লক্ষ ৯১ হাজার ৪শত ২৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ কাজ শেষ হয়েছে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মীরা শুরু থেকে নজরদারী করছে। আশা করি আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে।