পাঁচ আগষ্ট বিকেল থেকে সারাদেশের ন্যায় বাগেরহাট জেলায়ও ব্যাপক তান্ডব শুরু হয়েছে। তান্ডবকারীরা,বাগেরহাটের শরণখোলা প্রেস ক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সশস্ত্র এ হামলার ঘটনা ঘটে।”
বিএনপির অঙ্গসংগঠন মহিলা দলের শরণখোলা উপজেলা সভানেত্রী সাগর আক্তারের উপস্থিতিতে তার দুই ছেলে শামিম হাসান সুজন ও সোহাগ এবং বিএনপির সমর্থক পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হেলাল তালুকদারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।”
এ সময় হামলাকারীরা শরণখোলা প্রেস ক্লাব সভাপতি প্রতিদিনের বাংলাদেশের উপজেলা প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তারা শরণখোলা প্রেস ক্লাবে তাণ্ডব চালিয়ে চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় তারা প্রেস ক্লাবের ২টি কম্পিউটার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রাসহ সাংবাদিকরা এসে আহত দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় বাগেরহাট জেলাজুড়ে সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।”
সাংবাদিকরা অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।” শরণখোলা প্রেস ক্লাবে হামলার বিষয়ে বাগেরহাট জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী শাহিদা আক্তার বলেন, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহিংসতা না করতে দলীয় নেতাকর্মীদের বার বার নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”rk