বাংলাদেশের রুপপুর পাওয়ার প্লান্টের জেনারেল কার্গো (মেশিনারী) নিয়ে রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি মেলিনা বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের ৯নং জেটিতে নোঙ্গর করেছে ।২০২৫ সালের শুরু থেকে মোংলা বন্দরে বিদেশি বানিজ্যিক জাহাজের আগমনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১০ জানুয়ারি বন্দর জেটিতে দুইটি কন্টেইনার জাহাজ, রুপপুর পাওয়ার প্লান্টের মালামাল  নিয়ে এবং বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোট ১৮ জাহাজ  অবস্থান করছে।

বাংলাদেশের রুপপুর পাওয়ার প্লান্টের জেনারেল কার্গো (মেশিনারী) নিয়ে রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি মেলিনা বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের ৯নং জেটিতে নোঙ্গর করেছে। একই সাথে মার্কস ঢাকা নামে আরেকটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ ২০৭ টিউজ নিয়ে ৮ নং জেটিতে নোঙ্গর করবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি মেলিনা রুপপুর পাওয়ার প্লান্ট এর জেনারেল কার্গো (মেশিনারী) নিয়ে বন্দরের ৯ নং জেটিতে অবস্থান করছে। এছ্ড়াা ৭ দশমিক ৫০ মিটার গভীরতায় এম ভি পাকান্ডা এন্টিগুয়া ও বারমুডা পতাকাবাহী ১৪২.৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার জাহাজ পিপি জেটি নং ৭ এ আগমন করেছে । জাহাজটিতে ১৯০ টিইইউজ কন্টেইনার আসছে। মার্কস ঢাকা নামে আরেকটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ পিপি জেটি নং ৮ এ আসবে ২০৭ টিউজ নিয়ে । জাহাজটি পানামা পতাকাবাহী ১৮৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও গভীরতা ৭.১০ মিটার । মোঃ মাকরুজ্জামান আরো বলেন. ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোংলা বন্দরে ২৮ টি বানিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। বর্তমানে পোর্ট লিমিট এর মধ্যে ১৮ টি বানিজ্যিক জাহাজ রয়েছে। বর্তমানে পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত ১৮ টি বানিজ্যিক জাহাজসমুহে আমদানীকৃত পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে কয়লা, সার (জিপসাম,ড্যাপ ফার্টিলাইজার, টিএসপি, এম ও পি), ক্লিংকার, এলপিজি , কন্টেইনার পরিবাহী ও পাথরের জাহাজ । ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ৪১৩ টি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন করে। ১০ হাজার ৩৮৬ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়, গাড়ী বহনকারী ১০ টি জাহাজের মাধ্যমে ৫ হাজার ৬৩৭ টি গাড়ি আমদানি হয়। এ সময়ে মোংলা বন্দরে ৪৭১ মে.টন পন্য আমদানি-রপ্তানি হয় এবং ২১০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের ক্ষেত্রে ২.৩০%, কার্গো ৯.৭২%, কন্টেইনার ১৬.৭৮% এবং গাড়ির ক্ষেত্রে ১৩% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।#az