দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরে প্রথমবারের
মতো পাকিস্তান থেকে আমদানি করা সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন
চিটাগুড় নিয়ে পানামা পতাকাবাহী বানিজ্যিক জাহাজ এমটি
ডলফিন-১৯ ভিড়েছে। বৃহষ্পতিবার সকালে মোংলা বন্দরের ৮ নং জেটিতে
জাহাজটি ভিড়লে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ও ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়
বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পন্য
বোঝাই করে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। চিটাগুড়ের
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পি এন্ড পি ট্রেডিং।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান স্বাক্ষরিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের
হারবার মাস্টার কমোডর শফিকুল ইসলাম, আমদানিকারক আমদানিকারক
প্রতিষ্ঠান পি এন্ড পি ট্রেডিং এর সত্ত¡াধিকারী আনোয়ারুল হক,
জাহাজের ক্যাপ্টেন এনগুয়িন ট্রং পুং (ঘএটণঊঘ ঞজঙঘএ চঐটঘএ )সহ বন্দরের
কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমোডর শফিকুল
ইসলাম বলেন, আজ মোংলা বন্দরের জন্য একটি বিশেষ দিন, আমার জন্যও
বিশেষ দিন। পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হল। আগে ভারত
থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ করে ভারত ৫০ শতাংশ
আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে। যার কারনে আমাদের খরচ বেড়ে গেছে। তাই
পাকিস্তান থেকে অনেক কম দামে ও কম খরচে চিটাগুড় আমদানি করা শুরু
হল। এই আমদানি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আমদানিকারকদের সব ধরনের
সহযোগিতার আশ^াস দেন এই কর্মকর্তা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান স্বাক্ষরিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাগেরহাটের
মোংলা সমুদ্র বন্দরে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে আমদানি করা
সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন চিটাগুড় নিয়ে পানামা পতাকাবাহী
বানিজ্যিক জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯ ভিড়েছে। সাত মিটার গভীরতার
(ড্রাফট) জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৪৫ মিটার। গত২২ জানুয়ারি
পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পন্য বোঝাই করে বাংলাদেশের মোংলা
বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। আজ বৃহষ্পতিবার সকালে বন্দরের ৮ নাম্বার
জেটিতে অবস্থান নিয়েছে। জাহাজের চিটাগুড় খালাস করে মোংলা
ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে পরিশোধেন
করা হবে। এরপর রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে সড়ক
ও নৌপথে সরবরাহ করা হবে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন ফিড
কোম্পানি যাবে। প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরে পাকিস্তানের জাহাজ
ভেড়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ আনন্দিত। একারনে জাহাজটিকে স্বাগত
জানানো হয় বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ও ফুল দিয়ে।#