নওগাঁ সদর উপজেলার পার-নওগাঁ ভরিয়াপাড়া গ্রামের ছোট তুলসী গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে। রাতের আঁধারে পিকাপ ভ্যানের ধাক্কায় ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় নদীর দু’পাড়ের ৭ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটির ওপর দিয়ে পার হচ্ছেন। এতে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আশঙ্কা স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ নারী ও শিশুদের। এমন অবস্থায় ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী। নদীর দু’পাড়ের গ্রামগুলো পার-নওগাঁ, সরদারপাড়া, ভরিয়াপাড়া, শেখপুরা, রজাকপুর মাদ্রাসাপাড়া ও বোয়ালিয়া গ্রাম।
ভরিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ হোসেন বলেন, ৩ দিন ধরে আমাদের এই ব্রিজটা ভেঙ্গে পড়ে আছে, আমরা বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতে পারছি না। খুবিই অসুবিধার মধ্যে দিন পার করছি। একই গ্রামের আকাশ জানায়, পিকাপভ্যানের ধাক্কায় এই ব্রিজটা ভেঙ্গে যায়। আমরা স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার কে জানিয়েছি। কমিশনার লোকজন নিয়ে এসে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে দিয়েছে। এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে স্কুলগামী বাচ্চারা যাতায়াত করে।’
শেখপুরা গ্রামের রিস্কাচালক ওয়াসিম বলেন, ‘গ্রামের লোকজনের নওগাঁ শহরে আাসার জন্ মেইন রাস্তা এইটা। এখন ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এখন ইরি-বোরো মৌসুম সকলে ধান রোপণ করার জন্য বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করবে কিন্তু ব্রিজ ভাঙ্গা থাকায় যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে।
নওগাঁ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আসাদুজ্জাসান(সাগর) বলেন, ভরিয়াপাড়া-শেখপুরা গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এই ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে। আমাদের পৌরসভার মেয়র সাহেবকে বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি গ্রহণ করেছেন। আমরা আশা করছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দ্রুতই বিষয়টি সমাধান হবে এবং ওইখানে একটি সুন্দর লোহার বেলী ব্রিজ নির্মাণ হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবীন শীষ মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমিশুনেছি। ব্রিজটির পৌরসভার । ইতিমধ্যেই বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে ব্রিজটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে।