বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর ইউনিটির গাড়ি বহর সাইড না দেয়ায় অপর পরিবহন বাসের কাউন্টার ভাংচুর ও স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। হ্নদয় ঘরামী নামের একজন ছাত্র বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মোল্লাহাট থানায় এ মামলাটি করেন। আর এ মামলায় মোল্লাহাট উপজেলায় কর্মরত ৩ জন সংবাদকর্মী, আওয়ামী লীগ দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৪৫/৫০ জন কে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে এ মামলার ৫ জন এজাহার নামীয় আসামী কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলায় উল্লেখ্য যোগ্য আসামীরা হলেন মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহীনুল আলম সানা ও তার দুই ছেলে, সংবাদ কর্মী মফিজুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ ফারুক ও মোহাম্মাদ আলী মোহন ,ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও মিজানুর রহমানসহ ৭৪ জন আসামী। এদের সকলের বাড়ী মোল্লাহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। মোল্লাহাট থানা পুলিশ মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মহিষ চরানী এলাকার উত্তম ঘরামীর ছেলে বর্তমান খুলনা টুটপাড়া কবরখানা মোড় এলাকার হ্নদয় ঘরামী বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার মাদ্রাসাঘাট বাজার এলাকায় ইমাদ পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করার সময়ে ছাত্রদের পরিবহন করা একটি গাড়িতে ধাক্কা লাগে। এনিয়ে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। সংঘর্ষে অন্তত উভয়পক্ষের ১৫/২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৮ শিক্ষার্থী ও ১ জন দোকান মালিক কে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া একজন দরিদ্র ভ্যান চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনায় নিয়ে ভর্ত্তি করা হয়। রাস্তায় এ সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী দল এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পরে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং খুলনার শিক্ষার্থীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাগেরহাট পুলিশ অফিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা পরিদর্শক শাহীদুজ্জামান জানান, বৈশম্য বিরোধী ছাত্রদের সাথে ইমাদ পরিবহন বাসের শ্রমিকদের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় হ্নদয় ঘরামী নামের একজন ছাত্র বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মোল্লাহাট থানায় মামলা করেছেন। আর মামলায় পুলিশ ৫ জন এজাহার নামীয় আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।#az