স্বাধীনতা অর্জনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে তাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা; এটা মাথায় রাখতে হবে জাতির পিতা যে আহ্বান করেছিলেন, যার যা কিছু আছে শত্রুর মোকাবিলায় করতে হবে।” নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরিবার-সংসার, বাবা-মা সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই।” তাদের এ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কাজেই তাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে দল বা মতেরই হোক না কেন তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমার দল ও মতের সঙ্গে মিল না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধারা আমার কাছে সবসময় সম্মানিত। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারপ্রধান একথা বলেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই ফেলোশিপকে ট্রাস্ট করে আইন করে দিয়ে যাবো। যেন ভবিষ্যতে এটা বন্ধ করতে না পারে। আমরা এখন যাই করব একটি ট্রাস্ট ফান্ড করে দেবো।’
ফেলোদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্জিত জ্ঞান দেশের কাজে লাগাবেন। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। জনগণ যেন সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করবেন। ফিরে এসে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।’
এর আগে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন শিক্ষামূলক উন্নয়ন কার্যক্রম বিএনপি ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে।’
‘আমরা ৯টি ভাষা দিয়ে ফ্রি অ্যাপস চালু করে দিয়েছি। কারণ ফ্রিল্যান্সাররা যাতে ভাষা শিখে কাজ করতে পারে। একটা গ্রামে বসে যেন তারা কাজ করতে পারে। এছাড়া ইতোমধ্যে দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের কাজ চলছে, যা আগের চেয়ে আরো উন্নত হবে।”
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী আছে তারা যেন সবদিক থেকে সুযোগ সুবিধা পায়। তারাও যেন এগিয়ে যায়। শিক্ষায় তারাও যেন পিছিয়ে না পড়ে, সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।”#
d.tms