পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গিয়ে পুলিশের প্রতি তাদের প্রত্যাশার কথা শোনার জন্য বিভিন্ন কমিউনিটির সাথে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপসাঘাট সংলগ্ন স্ট্যান্ডে পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার মতবিনিময়কালে পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশার পাশাপাশি নাগরিকদের আইন মান্যতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সমবেত জনতাদের মধ্য হতে আগ্রহীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।”
সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা পুলিশের ভাবমূর্তি উত্তরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেজন্য আমরা মিলনায়তনে বা সেমিনারে বসে মিটিং না করে আজ আপনাদের সাথে কথা বলার জন্য এবং কথা শোনার জন্য আপনাদের কাছে এসেছি। কারণ মিলনায়তন বা সেমিনারে মধ্য মিটিং করলে সেই মিটিংয়ের বিষয়বস্তু বাইরের কেউ জানতে পারে না।”
পুলিশের প্রতি জনসাধারণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পুলিশ হবে নিরপেক্ষ সে কোন রাজনৈতিক দলের হবে না। ন্যায়পরায়ণ হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কোথায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকবে। সাহসী ভূমিকা থাকবে। মাদক সন্ত্রাসের বিষয়ে কোন নাগরিক তথ্য প্রদান করলে তথ্যদাতার নিরাপত্তার জন্য তার পরিচয় গোপন রাখতে হবে। পুলিশ মানুষ জনের প্রতি কেয়ারিং অ্যাটিটিউড দেখাবে। মানবিক আচরণ করবে। অভদ্র আচরণ করবে না। পুলিশ ঘুষ খাবে না বেতনের মধ্য থেকে সততার সহিত জীবন যাপন করবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। একই ভাবে জনগণের প্রতিও পুলিশের কিছু প্রত্যাশা আছে। পুলিশ ও জনগণ পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। ভিন্ন মত ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে হবে। নাগরিক হিসেবে বিশেষ কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেমন তথ্য দেওয়া, আইন মেনে চলা, পারস্পরিক সহমর্মিতা। এই প্রোগ্রাম সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে না পৌঁছানো পর্যন্ত চলমান থাকবে।”
এ সময় খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনীর-উল-গীয়াসসহ বিভিন্ন থানা এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।”#smk