জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক
(খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, বিএনপির কোন পদে কোনভাবেই
আওয়ামী লীগের সুবিধা ভোগী কাউকে আসতে দেয় হবেনা। বিএনপির তৃণমূলে কোন
গ্রæপিং নেই। তৃণমূল থেকে নেতাকর্মীদের নাম কমিটিতে দেন, দেখবেন প্রকৃত
ত্যাগীদের নাম চলে আসবে। ভবিষ্যতে কাউন্সিল প্রক্রিয়ায় বিএনপির প্রতিটি
ইউনিটের কমিটি গঠন করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি, কারও যদি ত্যাগ থাকে
কাউন্সিল প্রক্রিয়ায় কমিটি গঠন করা হলে তিনি উঠে আসবেন। যদিও আমাদের কিছু
নেতাকর্মী অপকর্মে জড়িয়ে গেছে, দলের নির্দেষনার বাইরে। যাদের বিরুদ্ধে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের আহবায়ক কমিটিতে না থাকা বাঞ্চনীয়। এছাড়া
এখন থেকে যে কমিটি হবে সেখানে তারুন্যকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান এই
নেতা।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের সভাপতিত্বে
শহরের পুরাতন বারে অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির
কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বাবু জয়ন্ত কুমার
কুন্ডু, শি¶া বিষয়ক সম্পাদক ড. এবি এম ওবায়দুল ইসলাম, গবেষনা বিষয়ক
সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজিবুর
রহমান, এ্যাড. ওয়াহিদুজ্জামান দীপু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সমš^য়ক
এম এ সালাম, সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম প্রমুখ।
বক্তারা, ভবিষ্যতে বাগেরহাট জেলার ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলা কমিটি কোন
প্রক্রিয়ায় গঠন করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ৫ আগস্টের পরে
বিএনপির যেসব নেতাকর্মী দলীয় নির্দেষনা না মেনে বিভিন্ন অপকর্ম করেছেন,
তাদেরকে আহবায়ক কমিটিতে না রাখার কথা জানান কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ। সকল
¶েত্রে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের মূল্যায়ন করার আশ্বাস দেন বক্তারা।
সভায় বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য, বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির
আহবায়ক, যুগ্ন আহবায়ক, সদস্য সচিবগণ অংশগ্রহন করেন।