December 23, 2024, 10:12 am
নোটিশ :
প্রকাশক ও সম্পাদক : মাসুম হাওলাদার।   বার্তা সম্পাদক : তানভীর সোহেল।     প্রধান কার্যালয় :  রেল রোড (কৃষি ব্যাংকের সামনে) বাগেরহাট। ইমেইল : press24masum@gmail.com

বাগেরহাটে ৫০টি গ্রামে পানি সংকট,বাঁধ কেটে দিয়েছে এলাবাসী

, কচুয়া (বাগেরহাট ) প্রতিনিধি 322 বার
আপডেট সময় : বুধবার, মার্চ ১৩, ২০২৪


বাগেরহাটের কচুয়ায় বাধাল সহ ৫০টি গ্রামে পানি সংকট দেখো দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে কৃষক ও মৎস্য চাষিরা। পানির আশায় বুধবার (আজ) এলাকার হাজার নারি পুরুষ বিষখালনদী(খাল) এর বলেশ্বরের মুখের বাঁধ সহ ১০/১২ বাঁধ কেটে দিয়েছে।
কচুয়ায় উপজেলার গোপালপুর, রাড়িপাড়া ও বাধাল ইউনিয়নের মসনী, বাধাল, রঘুদত্তকাঠী, সাংদিয়া, শাখারিকাঠী, আলোকদিয়া, কলমিবুনিয়া, বিলকুল গ্রাম ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিষখালী বলভদ্রপুর রামচন্দ্রপুর,কাঠিপাড়া,নরুল্লপুর সহ অন্তত ৫০টি গ্রাম পানি সংকটে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রয়োজন না হলেও শুষ্ক মৌসুমে খাল থেকেই পাম্প মেশিন দিয়ে সেচ দিয়ে কাজ চালিয়ে থাকেন তারা।
বিষখালী ও পানগুছি নদী থেকে অন্তত ৪০টি চারা খাল বাধাল,রাড়িপাড়া,গোপাপুর ,বনগ্রাম ও রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। অধিকাংশ খাল শুকিয়ে গেছে। ফলে জমি মালিকরা সময়মতো সেচ দিতে পাছে না। বিষখালী ও পানগুছি নদীর পানি এস চারা খালে প্রবেশ করে। সেখান দিয়ে জমিতে সেচ দেয় কৃষক।
উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে ৮০০ হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ কর হয়ে থাকে। এবছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২১ টি বøকে হাইব্রীড জাতের ৬ হাজার ৮শ হেক্টর এবং উফশী জাতের ১ হাজার ৯শ হেক্টর জমি বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা আছে।
বাধাল এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, চলতি বোরো মৌসুমে পানি সংকটে পড়েছে কৃষক ও মৎস্য চাষি। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। শুকিয়ে যাচ্ছে ধান গাছের গোড়া। মাটি ফেটে চৌচির, দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক তার পরিবার। শুতিয়ে গেছে খাল ও মৎস্য ঘের। সাম্প্রতি পানিউন্নয়ন বোর্ড বিষখালী ও পানগুছি নদীতে বাঁধ নির্মান করে ২৫ কিলোমিটার নদী পূর্ন খননের কাজের ধীরগতির কারনের ৫০টি গ্রাম পানি সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলছেন কৃষকরা।
কৃষক সাহাজান শেখ জানান, মাঘ মাসের শেষ ও ফালগুন মাসের প্রথম নাশিত নাগরম এসম মৎস্য ঘেরে ও পুকুরে বাগদার চিংড়ির রেনু পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময়। পানির সংকটে মৎস্য উৎপাদন ব্যহত হবার অসংঙ্কা মৎস্য খামারিদের।
কৃষক রঞ্জন দাস বলেন, এখন ধান গাছে মুকুল আসার সময় ফাল্গুনের ভরা মৌসুমে ধানক্ষেতে বেশি পানি দরকার কিন্তু জমিতে পানি দিতে পারছে না। পানির অভাবে ধান, ভুট্রা সহ বিভিন্ন ফসলের ফলন ভালো না হলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষক। ধান ক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সেচ না দিতে পারলে লাভতো দূরের কথা খরচের টাকাই উঠবে না।
বিপুলা বালা দাস বলছেন, এখন ধান গাছে মুকুল(থোড়) আমার সময় এখন পানি অভাবে ধান ফলছে না। ধান ও ভুট্রা সহ ফসলের জমিতে পানি দিতে না পারলে তাদের ফসল ঘরে উঠবে না। এখন এই আমাবশ্যার জোয়ারের পানি জমিতে দিতে পারলে ধান ফলবে।
উপজেলা আ.লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা বলেন, আমর চাই আমাদের কৃষদের বাঁচিয়ে নদী কনন হোক, আমাদের নদী খাল প্রয়োজন আছে। আবার এলাকার জনগনের দিকটাও দেখতে হবে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাস বলেন, নদীখাল খনেনর ফলে সামায়ীক একটু সমস্য হচ্ছে। তবে খনন কাজ হয়ে গেলে নদী ও খাল উন্মুক্ত করে দিলে এ অঞ্চলে মাৎস্য ও কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com