বাগেরহাটে প্রায় ৮০ হাজার কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে
এইচপিভি ভাইরাস টিকা দেবে স্বাস্থ্য বিভাগ। কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবার এক
নতুন দিগন্ত বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই টিকা গ্রহণ করলে ৯৮ শতাংশ
জরায়ুমুখ ক্যান্সার সুরক্ষা সম্ভব। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এক
মাসব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। বাগেরহাট জেলার তিনটি পৌরসভা
এবং নয় উপজেলায় এক হাজার ৮৬৫টি স্কুলের এক হাজার ৮৫৯টি কেন্দ্রে
পর্যায়ক্রমে এই টিকা দেওয়া হবে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা
করা কিশোরীরা অনলাইনে নিবন্ধিত (জন্মসনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন) হয়ে এই টিকা
নিতে পারবে। আর যারা স্কুলে যায় না তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী
কিশোরীরাও এই টিকা পাবে। তবে বাগেরহাটের কিশোরীদের এইচপিভি ভাইরাস
টিকাদানের কর্মসূচি সফল করতে নিবন্ধনের হার নিয়ে হতাশ স্বাস্থ্য বিভাগ।
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে জেলার কর্মরত
সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার
প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসময়ে
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ রিয়াদুজ জামান ও
বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার ইমুজাইশেন মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াসাত আজিম
রাতুল উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.
হাবিবুর রহমান বলেন, বাগেরহাট জেলার ৭৯ হাজার ৮৭৫জন কিশোরীকে জরায়ুমুখ
ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ভাইরাস টিকা দেয়া হবে। আগামী ২৪ অক্টোবর
থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
বাগেরহাট জেলার তিনটি পৌরসভা এবং নয় উপজেলায় এক হাজার ৮৬৫টি স্কুলের
এক হাজার ৮৫৯টি কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে এই টিকা দেওয়া হবে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে
নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করা কিশোরীরা অনলাইনে নিবন্ধিত (জন্মসনদ দিয়ে
রেজিস্ট্রেশন) হয়ে এই টিকা নিতে পারবে। আর যারা স্কুলে যায় না তাদের মধ্যে ১০
থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীরাও এই টিকা পাবে। নিববন্ধন ছাড়া কেউ টিকা
পাবে না। স্কুলগুলোতে চলবে ২৪ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত
স্কুলগুলোতে রেজিস্ট্রেশনের যে হার তা হতাশাজনক। তবে যেহেতু টিকা মাসব্যাপী
দেওয়া হবে তাতে সমস্যা হবে না, সবাইকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে
মনে করছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।ap