।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার সরকারী
কোয়াটার ও ফকিরহাটে বসতবাড়ীসহ পৃথকভাবে ৩ টি চুরির ঘটনা
ঘটেছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার গভীর রাতে ফকিরহাট উপজেলা
সদরের আ: গনি মঞ্জিল নামের বসতবাড়ীর তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে
অজ্ঞাত চোরেরা হানা দিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে
গেছে। খবর পেয়ে ফকিরহাট থানা পুলিশ ওই বাড়ী পরিদর্শণ করেছে।
বাড়ির মালিক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতের
কোন এক সময় ঘরের তালা ভেঙ্গে অজ্ঞাত চোরেরা ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর
আলমারি থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ স্বর্ণের দুটি রুলি, একটি
চেইন, একজোড়া কানের দুল, দুইটি আংটি ও দুইটি রুপার বালা
নিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল নিয়ে
গেছে। ঘটনার রাতে বাড়তে কেহ ছিলেন না বলে তিনি জানান।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, ওই বাড়ী
পরিদর্শণ করা হয়েছে। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে চুরির ঘটনা ও চোর
শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে গত সোমাবার গভীর রাতে জেলার
চিতলমারী উপজেলার শিবপুর নালুয়া গ্রামের মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের
বাড়ীতে ভয়াবহ চুরি হয়েছে।
গৃহকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ওইদিন বাড়িতে তালা দিয়ে ছেলের
বউকে ডাক্তার দেখানোর জন্য খুলনায় গিয়ে আত্মীয় এর বাসায় অবস্থান
করেন। পরেরদিন সকালে বাড়িতে এসে দেখেন কে বা কাহারা রাতে ঘরের
গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরে রক্ষিত নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার
টাকা ও স্বর্নের অলংকার নিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার
মালামাল নিয়ে গেছে। ঘটনা চিতলমারী থানা পুলিশ কে অবহিত করলে
পুলিশ এসে বাড়ী পরিদর্শন করে গেছে। অপরদিকে এর আগের দিন
রবিবার প্রকাশ্য দিবালোকে চিতলমারী উপজেলা সমাজসেবা
কর্মকর্তা সোহেল পারভেজের সরকারী কোয়াটারে চুরি সংঘঠিত
হয়েছে। চোরেরা ঘরে রক্ষিত নগদ ৪৭ হাজার টাকা, ও স্বর্নালংকার নিয়ে
গেছে বলে সমাজ সেবা কর্মকর্তা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে চিতলমালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিউল আলম
জানান, সরকারী কোয়াটারে চুরির ঘটনায় সমাজসেবা কর্মকর্তা
মোঃ সোহেল পারভেজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই
ভিযান চালিয়ে ইমন সেখ নামের একজন কে সন্দেহমুলক গ্রেফতার
করেছে। ইমন সেখ চিতলমারী উপজেলার আড়–য়াবর্নি গ্রামের
আলাউদ্দিন সেখের ছেলে। আর নালূয়া গ্রামের ওয়াহিদুজ্জামানের
বাড়ীতে চুরির ঘটনা তদন্ত অব্যাহত আছে।#