বাগেরহাটে জলবায়ু বিপদাপন্নতা বিশ্লেষণ ও করনীয় শীর্ষক এ্যাডভোকেসি সভা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগেরহাট দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের একটি জেলা, সমুদ্র
তীরবর্তী হওয়ায় এই এলাকার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব
মেনে নিয়ে যুদ্ধ করে জীবন অতিবাহিত করছে, প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন
সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয় এই জনপদের মানুষের । আর এই
বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে বাগেরহাট ও রামপালের বিভিন্ন যুব গ্রুপের সদস্যদের
অংশগ্রহনের মাধ্যমে জলবায়ু বিপদাপন্নতা বিশ্লেষণ করে একটি রিপোর্ট তৈরি
করে। আর এই বিষয়টি উপস্থাপন ও করনীয় নির্ধারন করতে রবিবার (১৬ অক্টোবর )
সকালে ইয়ুথ হাব বাগেরহাটের কোঃ লিডার শুভজিত সাহা ও অর্নব মিস্ত্রির
সঞ্চালনায় বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের হলরুমে এ্যাক্টিভিস্টা বাগেরহাট ও
রামপালের উদ্যোগে এবং বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও একশনএইড বাংলাদেশের
সহযোগিতায় একশন ফর ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের আওতায় এ এ্যাডভোকেসি সভা
অনুষ্ঠিত হয় । বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম
মঞ্জুরুল হাসান মিলন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যন্যদের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদীপ
কুমার বকসি, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শেখ নাইমুর রশিদ লিখন,
পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাট এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হোসনেয়ারা জামিল
সুমনা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম, একশন এইড বাংলাদেশের ইন্সপাইরেটর
সিদরাতুল মুনতাহা । এছাড়া সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বাঁধনের
বিভিন্ন ইয়ুথ গ্রুপের অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি এতে অংশগ্রহন করে। সভায়
বক্তারা বলেন, চিংড়ি চাষের অযুহাতে প্রতিবছর হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমি
অনাবাদি হয়ে পরে থাকে, কিছু সুবিধাবাদী প্রভাবশালীদের দৌরাত্তে প্রতি বছর
স্লুইজগুলো খুলে দিয়ে লবণ পানি গ্রবেশ করিয়ে হাজার হাজার হেক্টর কৃষি
নষ্ঠ হয়। সবাই মিলে এখই ব্যবস্থা না নিলে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ
জলবায়ুতে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেও জানান বক্তারা। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের
প্রতিনিধি বলেন, আমরা রামপালে টেকশই বেড়িভাধ নির্মাণে আমাদের প্রতিনিধি
দল সার্ভে করছে আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভালো খবর আপনাদের
জানাতে পারব।