৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপের নির্বাচন শেষ না হতেই বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ মোংলা ও শরনখোলা উপজেলায় নির্বাচনি সহিংসতা শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে পৃথক পৃথক সহিংস ঘটনায় বেশকয়েকজন কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক ঘটনা বিষয়ে জানা গেছে, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউয়িনের ফাসিয়াতলা গ্রামে সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নির্বাচন পরবর্তী বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত আলি খানের সমর্থকরা নুরুজ্জামান আকন ,মনির আকন ২ নং পঞ্চকরন ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড ইব্রাহিম হাওলাদার নামের তিনজন কে বাড়ীতে ঢুকে এলোপাতাড়ী মারপিট করেছে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাশর্^বর্ত্তি পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে এখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছে। আহতরা জানান রবিবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার পরাজিত প্রার্থী মোজাম্মেল হকের এজেন্ট ছিলেন। এ কারনে একই এলাকার মনির হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০/১২ জন তাদের উপর হামলা করেছে। অপরদিকে সোমবার সকাল ৭টার দিকে মোড়েলগঞ্জ উপজেলাধীন তেলিগাতি ইউনিয়নের হরগাতি গ্রামে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত আলী খানের কর্মীরা পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক লুৎফর হাওলাদার (৪০) কে মারপিট করে আহত করেছে। আহত লুৎফর জানান তেলিগাতি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শহীদ ফকিরের নেতৃত্বে তাকে মারপিট করা হয়। সহিংসতা বিষয়ে মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি সামছুদ্দিন জানান, খাউয়িলা এলাকার ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে জানা গেছে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ঘঠেছে। আর তেলিগাতির ঘটনা বিষয়ে এখন জানা যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্থরা লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিক সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মোংলা উপজেলার চাদপাই মালগাজী ফায়ার সার্ভিসের সামনে ইউসুফ(২৪) নামের এক যুবক মারপিট করে আহত করা হয়েছে। আহত ইউসুফ মোংলার তালতলা গ্রামের ইউসুনের ছেলে। নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যানের সমর্থক ফরিদ সিকদার ও আল আমিন এ হামলা করেছে বলে আহত ইউসুফ জানায়। ইউসুফ পরাজিত প্রার্থী যুবলীগ নেতা মো ইকবালের সমর্থক ছিলেন। অপরদিকে চাদপাই পাগলের মোড় এলাকার বিধানের চায়ের দোকানের সামনে পীযুষ কান্তি মজুমদার (৫৬) নামের একজন হিন্দু কমিউনিটি নেতাকে মারপিট করা হয়েছে। পীযুষ কান্তি উপজেলার কাইনমারী গ্রামের মৃত অতুল্য কুমার মজুমদারের ছেলে। তাকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্ত্তি করা হয়েছে। আহত পীযুষ মজুমদার জানান, বিজয়ী চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদারের সমর্থক চাদপাই ইউপি চেযারম্যানের ছোটভাই হাবিবুর রহমান হাবীব তাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করেছে । তিনি পরাজিত প্রার্থী ইকবালের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করেছেন। অনুরুপ ঘটনা ঘটেছে শরনখোলা উপজেলায়। নির্বাচিত চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্তর সমর্থকরা সোমবার সকাল থেকে উপজেলা বিভিন্নপয়েন্ট অবস্থান নিয়ে পরাজিত প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলনের সমর্থকদের মারপিট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ মতে উপজেলার রাজপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম কে মারপিট করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার সোনাতলা , মঠের পাড় ও তালতলী বাজারে পৃথক পৃথক সহিসং ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বাগেরহাট পুলিশ অফিসের ডিআইও-১ সৈয়দ বাবুল আক্তার জানান, নির্বাচন পরবত্তিতে মোংলা , মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলা উপজেলায় কয়েকটি সহিংসতা ঘটনা হয়েছে। নিয়ন্ত্রনে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।#
az