বাগেরহাটে বাড়ী-ঘর ভাংচুর লুটপাটের ও চাঁদা দাবীর অভিযোগে দ্রæত বিচার আদালতে আওয়ামী লীগের ২৮জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দ্বায়ের।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বার) জেলা বাগেরহাট বিজ্ঞ দ্রæত বিচার আদালত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুর জামান এর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবিদের শুনানী শেষে বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)- কে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আদেশ দেন। মামলা নাম্বার চ৯৭/২৪,তারিখ ১৭ সেঃ ২৪ইং।
এ মামলা বাগেরহাট-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের পিএস ফিরোজ জোমাদ্দার (৪৫) প্রধান আসামী করে আওয়ামী লীগের ২৮জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বাগেরহাট সদর উপজেলার কুলিয়া দাউড় গ্রামের আঃ মালেক মোল্লার ছেলে বিএনপি নেতা মোঃ মাসুম মোল্লা।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হচ্ছেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন (৪৮), জেলা তাতী লীগের সভাপতি ও বাগেরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর বাকি তালুকদার (৫৫), জেলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আবু বক্কার খান (৫০), জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যন মনি মল্লিক, পৌর যুবলীগের আহবায়ক পলি (৪৭) সহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সহ আরো ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে।
মামলার সুত্রে জানা যায়, বাদী ও তার ছোট দুই ভাই বিএনপি সমর্থন করা কারনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টার সময় মামলার ১নং আসামী সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের পিএস ফিরোজ জোমাদ্দার ও দুই নং আসামী জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিনের হুকুমে মামলার তিন নং আসামী জেলা তাতী লীগের সভাপতি ও বাগেরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর বাকি তালুকদার ও চার নং আসামী জেলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আবু বক্কার খানের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা রাম দা,কুড়াল, হকিষ্টিকসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অ¯্র নিয়া বাদী ও তার ভাইদের বাড়ী ডুকে এলোপাথারী মারধর শুরু করে। এতে বাদী ও তার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়। এ সময় আসামীরা ঘরে ঢুকে স্বর্নালংকার, চিভি, ফ্রীজ, ঘরের মালামাল লুট করে নেয়।
এ সময় বাদীর বাড়ীতে থাকা চারটি গরুও নিয়া যায়। বাদীর ছোট দুই ভাই মাহামুদ মোল্লা ও মামুন মোল্লার ঘরের মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। লুটপাটকৃত মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় মামলার এক নং আসামী সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের পিএস ফিরোজ জোমাদ্দার বাদীকে সাত দিনের মধ্যে ২০ লক্ষ্য টাকা চাদা দাবী করে। চাদার টাকা না দিলে পরিবারসহ গ্রাম ছাড়া করে খুন করে ফেলার হুমকি দেয়। আসামীরা চলে যাওয়ার পর স্বানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার করান।
ঘটনার পরবর্তী দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন কায়েম থাকায় বাদী এ ঘটনার বিষয় কোথাও কোন প্রতিকার প্রার্থী হইতে সাহস পায়নি বলে মামলা উল্লেখ করে বাদী মাসুম মোল্লা।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড মুস্তাইনি বিল্লাহ বলেন, এ মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত এ মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তে করে, মামলার আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান বলেন, এ সংক্রান্ত কোন মামলার নথি আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। হাতে পেলে আইন অনুযায়ী তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দেয়া হবে। rj