বাগেরহাটে অবঃ সেনা সদস্য’র বাড়িতে
সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা, মালামাল লুটপাট ।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা পল্লীতে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা
সদস্য’র বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে শনিবার রাতের এ ঘটনার
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ
ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ অবঃ সেনা সদস্য মুজিবর রহমান বাদী হয়ে রবিবার
কিশোর গ্যাং প্রধান আরমান মৃধাসহ ১৫ জনের নাম- পরিচয়
উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে মোড়েলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের
করেছেন। ওই অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের
বরইতলা গ্রামে শনিবার রাত ৮টার দিকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য
মজিবুর রহমানের বসতবাড়িতে শতাধিক কিশোর গ্যাংয়ের সংঘবদ্ধ
দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্য হামলা চালায়। এ সময়
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য’র ছেলে নাসির উদ্দিন সঞ্জু, স্ত্রী রাবেয়া
বেগম, ৫ বছরের শিশু কণ্যা সুবা জীবন রক্ষায় বসতঘরের পিছনে মৎস্য
ঘেরের ভেড়িতে পালিয়ে থেকে জীবন রক্ষা পায়। হামলাকারিরা বাড়ীতে
কাউকে না পেয়ে বসতঘর কুপিয়ে তছনছসহ ও ২ ঘন্টা ধরে তান্ডব
চালায়। এ সময় ঘরে থাকা নগদ ৮৭ হাজার টাকা, স্বর্ণালকার,
আসবাবপত্র, একটি লিভো মোটরসাইকেলসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার
মালামাল নিয়ে যায়। একই রাতে ওই সন্ত্রাসীরা পাশ^বর্ত্তি আউয়াল
হাওলাদারের বসতগৃহেও হামলা করে সরকারি বরাদ্দ পাওয়া পানির ট্যাংকি
কুপিয়ে ভাংচুর করে এবং দুটি ছাগল নিয়ে যায়। অবসরপ্রাপ্ত সেনা
সদস্যর ছেলে নাসির উদ্দিন সঞ্জু ও স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন ১০০/১৫০
জন সন্ত্রাসী বাহিনী নাসির উদ্দিন সঞ্জুর নাম ধরে বাড়িতে প্রবেশ
করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় আমরা প্রানের ভয়ে পালিয়ে
মৎস্য ঘেরের ভেরিতে রাত যাপন করে বেঁচে যাই। বংশের লোকজনসহ
নিজে আওয়ামী লীগ করি এ অপরাধে প্রকাশ্য এ হামলা হয়েছে বলে তারা
জানান। ঘরে পানি খাওয়ার গøাসটিও রেখে যায়নি ওরা। প্রশাসনের
কাছে ন্যায় বিচার চাই। স্থানীয় গ্রামবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল
জলিল হাওলাদার, মাসুদ রানা, লাল বরু বিবি, আউয়াল হাওলাদার বলেন,
স্বাধীনতার পরে এ ধরনের হামলা দেখিনি। আমরা গ্রামবাসীরা
প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. নাজমুল্লাহ বলেন, বরইতলা গ্রামে হামলার
ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটির তদন্ত চলছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে। ওই রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা
সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া
হবে। #