১৮ বছর বয়সী নেপালি পর্বতারোহী নিমা রিনজি শেরপা সবচেয়ে কম বয়সে অন্তত আট হাজার মিটার উঁচু ১৪টি শৃঙ্গের সবগুলোই জয় করেছেন। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
গতকাল সকালে তিব্বতের আট হাজার ২৭ মিটার উঁচু (২৬ হাজার ৩৩৫ ফুট) শিশা পাংমার চূড়ায় পৌঁছান নিমা রিনজি শেরপা। এর মাধ্যমেই পূরণ হয় তার অভিযান।”নিমা রিনজির বাবা তাশি শেরপা এএফপিকে বলেন, ‘সে আজ সকালে চূড়ায় পৌঁছেছে। সে খুব ভালো করে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এবং আমি তার এই সাফল্যের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
বিশ্বের ১৪টি ‘আট হাজারী’ পর্বত-চূড়া জয়কে পর্বতারোহণের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই লক্ষ্য পূরণে পর্বতারোহীদের অসংখ্য ‘ডেথ জোন’ পার হতে হয়। এসব জায়গার বাতাসে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ঠ পরিমাণ অক্সিজেন নেই।
অপর এক নেপালি পর্বতারোহী ৩০ বছর বয়সে এই সাফল্য অর্জন করেছিলেন। ২০১৯ সালে মিংমা গিয়াবু ‘ডেভিড’ শেরপার হাতেই এতদিন ছিল সবচেয়ে কম বয়সে এই সাফল্য অর্জনের রেকর্ড।
নিমা রিনজি শেরপা ১৬ বছর বয়সে পর্বতারোহণ শুরু করেন। ২০২২ সালের আগস্টে মানাসলু পর্বতের চূড়ায় ওঠেন তিনি।”
এ বছরের জুনে তিনি বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত-চূড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করেন। এটা ছিল তার ১৩তম আট হাজারি পর্বতারোহণ।
নেপালের ‘শেরপা’ গোত্রের পর্বতারোহীদেরকেই হিমালয় পর্বতকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পর্বতারোহণ শিল্পের পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যেকোনো পর্বতারোহণ অভিযানে এই গোত্রের সদস্যরাই সাধারণত বেশিরভাগ উপকরণ ও খাদ্য পরিবহন, দড়ি বসানো ও মই মেরামতের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকেন।
দীর্ঘদিন বিদেশি পর্বতারোহীদের সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হলেও সা¤প্রতিক সময়ে তাদের ব্যক্তিগত অর্জনগুলো তাদেরকে সবার সামনে নিয়ে আসছে।”
২০২১ সালে প্রথমবারের মতো নেপালি পর্বতারোহীরা শীত মৌসুমে পাকিস্তানের বৈরি পর্বত ‘কে টু’ জয় করেন।
আট হাজার ৬১১ মিটার (২৮ হাজার ২৫১ ফুট) উচ্চতায় এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বত হিসেবে বিবেচিত। এই পর্বত জয় করাকে ভয়ঙ্কর ও বিপদ সংকুল বলা হয়ে থাকে।”
sk