খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) যান্ত্রিক ওয়ার্কশপে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকারই কাজ হয়নি। এমন অভিযোগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নগরীর জোড়াগেট ওয়ার্কশপে অভিযান চালিয়েছে খুলনার দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের একটি দল। এতে নেতৃত্ব দেন দুদক খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ।"
অভিযানকালে দুদক কর্মকর্তারা কাগজপত্রের কাজ ও খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। কতটুকু কাজ হওয়ার কথা ছিল আর কিভাবে হয়েছে সেটিও ফিতা দিয়ে মেপে দেখেন কর্মকর্তারা। টেকনিক্যাল এসব কাজ দেখার জন্য সড়ক বিভাগ ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের সঙ্গে নেয় দুদুক।"
অভিযান পরিচালনা শেষে উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নানা অনিয়ম হয়েছে, প্রকল্পের অনেক কাজ একেবারেই হয়নি। ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ১০১ টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকারই কাজের হিসাব পাওয়া যায়নি। প্রকল্পে কাজ ছিল দুই ভাগে। সিভিল ও ম্যাকানিক। সিভিলের দুইটি আইটেমের মধ্যে একটিও কাজ পাওয়া যায়নি। আর ম্যাকানিকের পাঁচটি আইটেমের মধ্যে চারটির কাজ আংশিক আকারে পাওয়া গেছে। সেগুলোতেও নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে। পুরাতন ইটের ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও আবার অন্য ঘরের ফ্লোর থেকে তুলে আনা। আটশ’ মিটার ওয়ালের স্থলে তৈরি করা হয়েছে মাত্র ২৩২ মিটার। পাওয়া গেছে দুর্নীতির আরও অনেক প্রমাণ। এছাড়া বিক্রির জন্য বাইরে অনেক মালামাল স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সেগুলোর বিক্রি প্রক্রিয়ার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কাজ না করে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানান দুদক উপ-পরিচালক। এ বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।"
তবে পাউবোর খুলনার তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী একেএম মাসছুদ্দোহা বলেন, দুদক যে সব বলছেন তার সব ঠিক নয়। কেননা অনেক কাজ এখনও চলমান রয়েছে। তবে কাজ শেষ করার আগে টাকা কেন উত্তোলন করা হলো এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়েছে। পুরা টাকা না দিয়ে আংশিক দিলেই হতো।”smk