রাজনীতির মাঠে কেউ কাউকে মনে রাখে না,কেউ কাউকে জায়গা দেয় না,ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মূল্যায়িত হন না।হতাশার এমন অনেক কথা এ দেশের মূল ধারার রাজনীতিতে এখন শুধু কথার কথা না, অনেক ক্ষেত্রেই 'বঞ্ছিত' দাবিকারীরা তা প্রমানিত বলে বিশ্বাস করেন।
কিন্তু এদেশের রাজনীতিতে প্রায় প্রতিষ্ঠিত সত্য হয়ে ওঠা এসব কথা ঢালাও ভাবে বলার সময় যে এখনও আসেনি, তা আরো একবার প্রমাণ করলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম বাগেরহাট-২ আসনের মাননীয় এমপি,শেখ তন্ময়
পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে বাগেরহাট জেলা সদরসহ নিজ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ উপহার পাঠালেন শেখ তন্ময়।
এসব উপহারের মধ্যে রয়েছে পোলাউ চাল, সেমাই, চিনি, গুড়াদুধ, গরম মশল্লা ও কয়েক প্রকার ফল। প্রতিটা পরিবারের জন্য পৃথক ডালি সাজিয়ে দলীয় কর্মীরা তা পৌছে দিলেন বাড়িতে বাড়িতে।
এর আগে করোনা মহামারির সময় শেখ তন্ময় এমপি বাগেরহাটে নিজ এলাকার করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে ফলের ডালি পাঠিয়ে তাঁর আন্তরিকতার প্রমাণ রেখেছিলেন। করোনাকালে শেখ তন্ময়ের বেশ কিছু প্রশংসনীয় সামাজিক ও সেবা উদ্যোগের মধ্যে ছিল জেলাব্যাপী সর্বসাধারণের জন্য "শেখ তন্ময় অক্সিজেন ব্যাঙ্ক" এর সার্বক্ষণিক সেবা। মাসের পর মাস মাঠ পর্যায়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলো বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগ। এ সময়ে তাঁর আলোচিত ও সংবেদনশীল কয়েকটি কাজের মধ্যে ছিলো "ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার।" এবং ,অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের পুষ্টি প্যাকেজ,এই প্যাকেজের মাধ্যমে মায়েদের ডিম, দুধ, ফল, আলু, ডাল, তেলসহ পুষ্টিকর খাদ্য দেয়া হয়েছিলো।
এছাড়া নেতা-কর্মীদের চিকিৎসায় অর্থ সহায়তাসহ ঈদ-পুজায় নিয়মিত উপহার প্রদন করে আসছেন শেখ তন্ময়।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ এর তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার বলেন দেশের প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও সুবিস্তৃত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার প্রয়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে অল্প সংখ্যকই হয়তো আজ সম্মানিত হলেন। তবে একটি নতুন মানবিক ভাবনার জাগরণ তো হলো। এই চর্চা হয়তো কোন একদিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নিয়মিত একটি চর্চায় রূপ নেবে। অনুকরণীয় হবে অন্যদের কাছেও।