নওগাঁর রাণীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণের সময় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় চার সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (০২এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় উপজেলার গোনা ইউনিয়নের গোনা গ্রামস্থ জনৈক কামাল সরদারের পুকুরের পশ্চিম পার্শ্বে তাদের কে আটক করা হয়।
বুধবার থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদ্য পদন্নোতিপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান। এসময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ওবায়েদসহ থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আটকৃতরা হলেন, বগুড়া জেলার দুপঁচাচিয়া উপজেলার নিমাইকোলা গ্রামের সোনা মিয়া প্রামাণিকের ছেলে শাকিল প্রাং (২৪),লিটন মন্ডলের ছেলে মুন্না মন্ডল (১৯), রাণীনগর উপজেলার হরিশপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে আজাদুল ইসলাম (২৮) ও আতাইকুলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে লিটন হোসেন (২৪)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন ডাকাত দলের সদস্যরা। এই সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ওবায়েদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আজাদুল ইসলাম আহত হলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ১টি লোহার শাবল, ২টি লোহার রোড, ২টি ছোরা, ১টি চাকু, ১টি হাসুয়া, ৩টি রশি, কসটেপ, বাজার করা ব্যাগ ও ছয়চাকার মিনি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, এরা রাণীনগর ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি, ছিনতাই, পথ রোধ করে চুরি ও ডাকাতির কাজ করে আসছিলো। কোথাও চুরি করতে গিয়ে যদি বাঁধার সম্মুখিন হতো তাহলে ওই মানুষগুলোর হাত, পা ও মুখ বেধে ডাকাতি করতো। নওগাঁর ১১টি উপজেলাসহ তার আশেপাশের অঞ্চলগুলোর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের এমন অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং আগামীতেও অব্যাহত রাখা হবে বলেও তিনি জানান। আইনি সকল প্রক্রিয়া শেষে আটকৃতদের বুধবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানান।