নানা জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একে আজাদ ফিরোজ টিপু ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা একযোগে পদত্যাগ করেছেন বলে জেলা আইনজীবী সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো আলতাফ হোসেন জানান।
প্রাপ্ত পদত্যাগ পত্র থেকে জানা যায়, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. ড. একে আজাদ ফিরোজ টিপু, জুনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাড. মোঃ সলিমুল্লাহ শেখ সেলিম, সহকারী সম্পাদক এড. ফকির মোঃ নওরেসুজ্জামান (লালন), এড. মোহাম্মদ মোসলে উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য এড. মোহাম্মদ রেজওনুর রহমান, অ্যাড. সুমন কুমার সিংহ, অ্যাড. তামান্না রহমান শশী, অ্যাড. রুকসানা পারভিন রুপা, অ্যাড. রীমা খাতুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন।
অপরদিকে আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাড. আব্দুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুহেলি পারভীন সভাপতি বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
সকল সদস্যের পদত্যাগের ফলে কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে সমিতির সভায় প্রবীন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান লাহুকে আহবায়ক করে এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। এই আহ্বায়ক আগামী মঙ্গলবার সমিতির সাধারণ সভা ডেকেছেন।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রতক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একে আজাদ ফিরোজ টিপুর নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন হয়। পরে করনাকালীন কমিটির মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করা হয়। এরপরে আর কোন নির্বাচন হয়রানি। প্রতিবারই রেজুলেশনের মাধ্যমে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ রেজুলেশন অনুযায়ী বর্তমান কমিটির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত।
আইনজীবী ইমরান হোসাইন জানান, সারা দেশের ন্যায় আওয়ামী লীগ বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতিও কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। তারা জেলা আইনজীবী সমিতিকে নিজের সম্পত্তি মনে করতো। আইনজীবীদের সাথে স্বৈরাচারি আচারণ করতো। তিনি নিজেও সভাপতির রোশানলের শিকার হয়েছেন বলে জানান।
সদ্য পদত্যাগ করা একে আজাদ ফিরোজ টিপু বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে আইনজীবী সমিতিতে নিয়মবহির্ভূত কাজ করার অভিযোগ রয়েছে"rj