জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলায় জাতীয়ভাবে সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা জরুরী।
জলবায়ূ পরিবর্তনে দায়ী নাহলেও বাংলাদেশ অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। বিশেষ করে
উপকূলীয় এলাকায় দিন বাস্তুহীন, গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি
ফসল, মৎস্য উৎপাদন কমছে। লবণাক্ততা বাড়ছে। খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে নারী ও
শিশু স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।
বাগেরহাটে জেলা পর্যায়ে জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা
সম্পর্কিত পরামর্শ ও মত বিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অ্যাওসেড’র উদ্যোগে কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর)
সকালে শহরের ধাঁসিড়ি হোটেল মিলনায়তনে (ঈউজঋও) প্রকল্পের আওতায় জেলা
পর্যায়ে জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা সম্পর্কিত পরামর্শ ও মত
বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট জেলা
যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সৈয়দ মুনিরুজ্জামান ।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ম্যাপের সদস্য প্রফেসার আব্দুর রব, প্রেসক্লাবের
সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান,সুজনের সাধারন সম্পাদক এ কে হাসিব, বাধন
মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এস কে মঞ্জুরুল হাসান, সাংবাদিক
ইসরাত জাহান প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাগেরহাট জেলা ম্যাপের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ শওকত
হোসেন । সভা পরিচালনা করেন ম্যাপের সদস্য সচিব মোঃ আসাদুজ্জামান ।
সভায় কপ ২৯ এর অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন সিডিআরএফআই প্রকল্পের প্রকল্প
ব্যবস্থাপক হেলেনা খাতুন। কপ ২৯-এ পূর্ববর্তী ও কপ চলাকালীন সময়ে
অ্যাওসেডএর অংশগ্রহণ ও অর্জন বিষয়ে আলোচনা করেন। জলবাযু পরিবর্তনের দায়
ও আমাদের ঝুঁকি বিষয়ে আলোচনা করেন অ্যাওসেড এর লানিং এড
এ্যাডভোকেসী অফিসার এস.কে বাহলুল আলম।
আলোচকরা আরো বলেন, যে কোন নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অভিমত
গুরুত্বপূর্ণ। ভুক্তভোগী ও সংকটাপন্ন মানুষ কি ভাবে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন
বা কি ভাবে ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন তার সুস্পষ্ট ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে। জলবায়ূ
পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশী ও আন্তর্জাতিক আইন-নীতিমালাগুলোর সমন্বয় করতে
হবে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতন ভাবে এসব কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে।#