বাগেরহাটের মোংলায় স্কুলগামী একজন ছাত্রীর গোপনে ছবি তুলে বিবস্ত্র অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্থাপন করাসহ ভিকটিম ও তার মাকে রাস্তায় প্রকাশ্যে মারপিট করার অভিযোগে মোংলা থানায় পর্নোগ্রাফী আইনে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলার এজাহার নামীয় ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা বিষয়ে পুলিশ ও ভুক্তভোগিরা জানায়, মোংলা পৌরসভার সিগনাল টাওয়ার এলাকার মন্টু মোড়লের ছেলে মোঃ ইমন মোড়ল (১৭) একই এলাকার ভিকটিম অষ্টম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া ও আসার সময় বেশ কিছুদিন ধরে উক্তাক্ত করে আসছে। এক পর্যায়ে মেয়েটির একটি ছবি সংগ্রহ করে তা বিবস্ত্র অবস্থা করে মোবাইলের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। বিষয়টি গত রবিবার স্কুলে গিয়ে ওই ছাত্রীর এক সহপাটির মোবাইলে দেখতে পেয়ে লোক লজ্জায় বাড়ীতে এসে কাউকে কিছু না বলে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রতিবেশী জনৈক মীম বেগম নামের এক নারী দেখতে পেয়ে তাকে রক্ষা করে এবং ঘটনা মেয়েটির মাকে জানায়। একপর্যায়ে মেয়েটির মা রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা জানার জন্য ইমনের বাসার কাছে যায়। এ সময় ইমনের পিতা মোঃ নান্টু মোড়লসহ মোঃ আলামিন মীর, আকাশ তালুকদার ওরফে আকাশ হিজড়া ও আরো কয়েকজন মিলে ভিকটিম ও তার মাকে রাস্তায় বেধড়ক মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মোংলা হাসপাতালে ভর্ত্তি করে দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে মোংলা থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফী আইনে একটি মামলা করেছেন। মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বখাটে ইমন মোড়ল, তার পিতা নাণ্টু মোড়লসহ ৪ জনের নাম পরিচয় উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(২) সহ পেনাল কোডের ৩২৩/৩৭৯/৩৫৪/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহার নামীয় ৩ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।#az