বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার
হওয়া ৫ সন্ত্রাসী খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যা
মামলার আসামী। এরা হত্যাকান্ডের পর রামপাল উপজেলার ভাগা এলাকায়
একটি ভাড়া বাসায় আত্মগোঁপনে ছিল। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ২টি
মটরসাইকেলে করে ওই সন্ত্রাসীরা উপজেলার ফয়লাহাট বাজারের গরুর
হাটে সন্দেহ জনক অবস্থান করছিল। যা স্থানীয় ফয়লাহাট পুলিশ ফাড়ির
ইনচার্জ এসআই আনসার আলীর নজরে আসে এবং পুলিশ তাদের
গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনা নিয়ে বৃহষ্পতিবার বাগেরহাট পুলিশ সুপারের
কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ এক প্রেস ব্রিফিং
করে এই তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলো খুলনা মহানগরের
দৌলতপুরের মহেশ^রপাশা এলাকার মতলেব শেখের ছেলে হুমায়ুন কবির ওরফে
হুমা (৩৬), একই এলাকার রমজান ঢালীর ছেলে ইসতিয়াক শাহরিয়ার (২৩),
কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী রায়হান (২১), মোঃ ওবায়দুর রহমানের
ছেলে মোঃ আসিফ মোল্লা (২০) এবং আলমগীর হোসেনের ছেলে মোঃ
ইমন হাওলাদার (২১)। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে
রয়েছে দুটি লোহার তৈরি ওয়ান স্যুটারগান ও ৬ রাউন্ড বন্দুকের গুলি।
এছাড়াও তাদের ব্যবহ্নত ৩টি মোটরসাইকেল ও ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার
করা হয়। পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ বলেন, গোপণ সংবাদে
জানতে পারি জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট বাজার এলাকায় কিছু
সন্দেহভাজন লোকজন ঘোরাফেরা করছে তারা কিলিং মিশনের সদস্য। এই
খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকায় পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় ফয়লাহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে
গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায় দেড়
মাস আগে রামপালের ভাগা এলাকায় জনৈক রফিকুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া
নিয়ে বসবাস করে আসছে। পরে তাদের নিয়ে ওই ভাড়া বাসায় তল্লাশি
চালিয়ে দুটি লোহার তৈরি ওয়ান স্যুটারগান ও ৬টি গুলি উদ্ধার করে
পুলিশ। গত ২৫ জুন খুলনার আড়ংঘাটার আরিফ নামে এক ব্যক্তি খুন হন।
এই আরিফ হত্যার সাথে এরা সরাসরি জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই হত্যাকান্ডের হুকুমদাতা ছিলেন
হোসেন ঢালী ও আলমগীর হোসেন। ইমন ও রায়হান আরিফকে গুলি করে
হত্যা করে বলে স্বীকার করে। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে
রামপাল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। আসামীদেরবৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা কারাগারে
প্রেরন করা হয়েছে।#