ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরউমেদ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন। গত চার বছর ধরে নিজ বাড়ির আঙিনায় বরই চাষ করছেন তিনি। এরমধ্যে এবারের মৌসুমে তার বাগানে সর্বোচ্চ বরইয়ের ফলন হয়েছে। তিনি এবার আশা করছেন ১০ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবেন।
মোহাম্মদ হোসেন বাড়ির আঙিনার ১৫০ শতাংশ জায়গায় বরইয়ের বাগান করেছেন। তিনি বলেন, শের-ই বাংলা কৃষি ইউনিভার্সিটির নার্সারি থেকে বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী ও অস্ট্রেলিয়ান আপেল কুল জাতের বরইয়ের চারা এনে রোপণ করি। বর্তমানে বাগানের ১৫০ শতাংশ জমিতে সাড়ে তিনশত বরই গাছ রয়েছে। এ বছর বিগত বছরগুলোর তুলনায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় দেড় লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি। প্রতি কেজি বরই পাইকারি একশত টাকা এবং খুচরা একশত ত্রিশ টাকা করে বিক্রি করি। গাছগুলোতে যে পরিমাণ ফলন রয়েছে তাতে শেষ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবো।
এই বরই চাষি আরও বলেন, আমার বরই বাগানে চারজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। তাদেরকে দৈনিক সাতশত টাকা করে মজুরি দিচ্ছি। তাদের মজুরি, বাগানের কীটনাশক, সার এবং সেচ খরচসহ সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ টাকার মতো এই বরই বাগানের পেছনে ব্যয় হয়েছে। তবে মৌসুম শেষে ১০ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারলে লাভ হবে অন্তত পাঁচ লাখ টাকা। সামনে এই বরই বাগানের জমির পরিমাণ আরও বাড়াবো।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, হোসেন নামের ওই ব্যক্তি খুবই পরিশ্রমী। তিনি তার কাজের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। গত কয়েক বছর ধরেই বরই চাষ করছেন। এ বছর তার বাগানে সর্বোচ্চ ভালো ফলন হয়েছে। আমরা নিয়মিত তার বাগান পরিদর্শনসহ খোঁজ-খবর নিচ্ছি। একই সঙ্গে বরই চাষি হোসেনের কোনো সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় পরামর্শের মাধ্যমে তা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। এছাড়া নতুন করেও কেউ যদি আগ্রহী হয়, উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় তার পাশে থাকবে।
dktm