অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সব অপরাধের বিচার হবে, সর্বত্র অপরাধীর বিচার হবে। অরাজকতার বিষবাস্প যেই ছড়াবে তাকে সকলে ব্যর্থ করে দিবে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেককে আনন্দ সহকারে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান করছি। সবাই দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে উপভোগ করবেন। দেশকে গৌরবের শীর্ষে নিয়ে যাবেন। এবং দেশবাসীকে তা উপভোগের সুযোগ করে দিবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে শপথ গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তরুণরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকি সবার জন্য মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি, আমাদের বিজয় অবশ্যই হবে।
নির্ভয়ে ও আনন্দচিত্তে নিজনিজ কর্মস্থলে ফেরার আহবান জানান তিনি।
এদিন, রাত ৯টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন নবগঠিত সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ উপদেষ্টাও শপথ নেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গভবনে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বাকি তিন উপদেষ্টা ঢাকার বাইরে থাকায় শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। তারা হলেন, ফারুক–ই–আজম, সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায়।
এর আগে রাত ৯টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ জন সদস্য একে একে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। শপথের আগে কোটা আন্দোলনের ছাত্রদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কোরআন পাঠের পর শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ১৬ উপদেষ্টা হলেন
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ,
২. ড. আসিফ নজরুল,
৩. আদিলুর রহমান খান,
৪. হাসান আরিফ,
৫. তৌহিদ হোসেন,
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান,
৭. মো. নাহিদ ইসলাম,
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া,
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন,
১০. সুপ্রদিপ চাকমা,
১১. ফরিদা আখতার,
১২. বিধান রঞ্জন রায়,
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন,
১৪. নুরজাহান বেগম,
১৫. শারমিন মুরশিদ,
১৬. ফারুকী আযম,
bl